দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির খাটুয়াপাড়া থেকে দমকল জেটি পর্যন্ত ইটের রাস্তা নিয়ে নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ওই রাস্তা দিয়ে সারা দিনে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, রাস্তাটি পিচ রাস্তা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে রাস্তার যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে সুস্থভাবে যাতায়াত করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। |
রায়দিঘির কনকন দিঘি থেকে দমকল জেটি ঘাট পর্যন্ত মোট রাস্তার দৈঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। বছর তিনেক আগে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় কনকন দিঘি থেকে খাটুয়াপাড়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে পিচ ফেলা হয়েছিল। বাকি অংশে আর পিচ পড়েনি। অথচ ওই এলাকার কুয়েমুড়ি মৈপিঠ, নগেন্দ্রপুর-সহ ৫-৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ দৈনিক যাতায়াত করেন ওই রাস্তা দিয়ে। রায়দিঘি বা ডায়মন্ড হারবার আসার জন্য স্থানীয় মানুষকে ওই রাস্তাই ব্যবহার করতে হয়। মোটর ভ্যান, সাইকেল ভ্যান, অটো মিলিয়ে প্রায় ২০০টি যান চলাচল করে ওই রাস্তায়। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার অহস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। এ ছাড়াও রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পরে যাতায়াতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়। রোগী নিয়ে রায়দিঘি বা ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে যেতে হলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ওই এলাকায় রয়েছে তিনটি হাইস্কুল ও কুড়িটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে পড়ুয়া এবং দূর থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। বর্ষায় দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রায়দিঘির বাজারে সবজি নিয়ে যেতেও মুশকিলে পড়তে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ মণ্ডল, পরেশ দাসেরা জানান, ২০ কিমি রাস্তার মধ্যে ১০ কিমি পাকা হয়ে গেলেও বাকিটা এখনও হয়নি। ফলে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। প্রশাসনের নানা স্তরে এ নিয়ে বহু আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তার সংস্কার হয়নি।
মথুরাপুর-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা উদয় মণ্ডল বলেন, “রাস্তাটি পিচের করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ পাথরপ্রতিমার একাংশের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে নিত্য যাতায়াত করেন।” মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংসমোহন কয়াল বলেন, “ছোট রাস্তা হলে আমরাই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগী হতাম। কিন্তু ওই রাস্তা তৈরি করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার মাধ্যমে রাস্তা তৈরির আবেদন করা হয়েছে।” মথুরাপুর-২ এর বিডিও দেবর্ষি রায় বলেন, “ওই রাস্তার অবস্থা বিপজ্জনক। রাস্তাটি পিচের করার জন্য জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” |