|
|
|
|
গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব সরিয়ে লড়ার বার্তা মুকুলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলীয় কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার নির্দেশ ফের দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি এবং নৈহাটির পানপুরে তৃণমূলের দু’টি কর্মী-সম্মেলন হয়। পানপুরে মুখ্য বক্তা ছিলেন মুকুলবাবু। সেখানে তিনি বলেন, “নেতা বা ভোটপ্রার্থী হওয়া নিয়েই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় ১৯০টা পঞ্চায়েতে ভোট হবে। ১৯০ জন পঞ্চায়েত প্রধান হবেন। তার মানে ১৯০ জন তো নেতা তো হতে পারলেন! সুতরাং, এটা নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই।” পানপুরে ছিল ব্যারাকপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মী-সম্মেলন। গত পঞ্চায়েত ভোটে ওই পঞ্চায়েত সমিতির আটটি পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টিতেই তৃণমূল হেরেছিল। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আটটিতেই তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করতে যে দলীয় নেতৃত্ব এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন, মুকুলবাবুর এ দিনের বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলে মূলত দু’টি গোষ্ঠী। একটি মুকুলবাবুর এবং অন্যটি দীনেশ ত্রিবেদীর। এ দিন পানপুরের সম্মেলনটি ছিল দীনেশেরই লোকসভা কেন্দ্রভুক্ত এলাকায়। ওই সভার মূল দায়িত্বে ছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংহ এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তাঁরা তৃণমূলের অন্দরে ‘দীনেশ-গোষ্ঠী’র নেতা বলে এত দিন পরিচিত ছিলেন। কিন্তু দীনেশ-বিতর্কের পর এ দিন ওই সম্মেলনে কেউই তাঁর নাম উচ্চারণ করেননি। বস্তুত, দীনেশ-গোষ্ঠীর অস্তিত্বই এ দিন ওই সভায় টের পাওয়া যায়নি। সেই প্রেক্ষিতে মুকুলবাবুর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে যাওয়ার নির্দেশ যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে তৃণমূলেরই একাংশ।
দীনেশের মতো দলের আর কেউ যাতে মমতাকে ‘অগ্রাহ্য’ করে কোনও সিদ্ধান্ত না নেন, তার জন্য তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হুগলির মগরায় এ দিন বলেন, “দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই সব সদস্যের চলা উচিত। দীনেশ ত্রিবেদীর বাজেট নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।” পানপুরের সম্মেলনে প্রায় একই কথা বলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। তাঁর বক্তব্য, “দল টিকিট দিয়েছে বলেই আমরা বিধায়ক, সাংসদ বা মন্ত্রী হয়েছি। দল যখন চাইবে না, পদত্যাগ করতে হবে সেই মুহূর্তেই।” |
|
|
|
|
|