‘ডাঙায় বাঁচতে’ ক্যারাটে শিখুন, মদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোন্নগর |
রাজ্যে অপরাধ দমন করতে ছেলেমেয়েদের ক্যারাটে শেখার ‘দাওয়াই’ বাতলালেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র।
তিনি বলেন, “মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আমরা বলি, এত বড় ঘটনা ঘটছে, পুলিশ কি করছে? কিন্তু, পুলিশের পক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। বডিগার্ড দিয়ে কিছু হবে না। নিজের বডিগার্ড নিজেকেই হতে হবে। সেই কারণেই ক্যারাটে শিখতে হবে। ইন্দিরা গাঁধীর তো দেহরক্ষী ছিল!”
রাজ্য স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতা হয়ে গেল হুগলির কোন্নগরে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সেশিনকাই শিটো-রিউ ক্যারাটে-ডু চ্যাম্পিয়নশিপ’ নামের ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল সেশিনকাই শিটো-রিউ ক্যারাটে-ডু অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। শনি ও রবিবার কোন্নগরের নবগ্রামে মহাদেশ পরিষদে ওই প্রতিযোগিতা হয়। আয়োজকেরা জানান, রাজ্যের ১৪টি জেলার ৮০০ প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিযোগিদের বয়স ছিল ৬ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। রবিবার এই উপলক্ষেই কোন্নগরে এসেছিলেন মদনবাবু। সেখানেই ক্যারাটের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
|
উদ্যোক্তাদের তরফে বৈকুন্ঠ সিংহ জানান, প্রতিটি ইভেন্টই হয় ব্যক্তিগত। ছোটদের বিভাগে বেশ কয়েকটি ইভেন্ট হয়। বড়দের বিভাগে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়নস’ হন দেবল বসু। ব্ল্যাক বেল্ট ইভেন্টে সোনা জেতেন স্বরাজ সিংহ। কাপা ইভেন্টে স্বর্ণপদক পান অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়েদের বিভাগে কাপা ইভেন্টে সোনা জেতেন শ্বেতা গুপ্ত। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র, কৃষিমন্ত্রী অরূপ রায়, সর্বভারতীয় ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রেমজিৎ সেন প্রমুখ।
এ দিন ক্রীড়ামন্ত্রীর বক্তব্য, “খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মহিলারা আরও বেশি করে প্রতিরোধ করতে শিখবে।” এ প্রসঙ্গে জাপান এবং কোরিয়ার মেয়েদের প্রসঙ্গ টানেন মদনবাবু।
গত কয়েক মাসে বিভিন্ন জেলায় বিশেষত মহিলাদের উপর অত্যাচার নিয়ে সরগরম হয়েছে রাজ্য। পুলিশ এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রসঙ্গ মাথায় রেখেই মদনবাবু এ দিন মেয়েদের ক্যারাটে শেখার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। রাজ্য সরকার ক্যারাটে অ্যাকাডেমি গড়ার চেষ্টা করছে বলেও মন্ত্রী জানান। মদনবাবুর বলেন, “সব ক্লাবকে আমরা ক্যারাটে এবং সাঁতারের ব্যবস্থা করার আবেদন জানাচ্ছি। যে সমস্ত ক্লাব তা করবে, রাজ্য সরকার তাদের সাহায্য করবে।” ক্রীড়ামন্ত্রীর কথায়, “সাঁতার কেটে জলে বাঁচতে হবে। ডাঙায় বাঁচতে হবে ক্যারাটে শিখে। একটি পাড়ায় ৫০ জন ক্যারাটে খেলোয়াড় থাকলে সেখানে কোনও অপরাধ হবে না।” |