নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
টেবল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (টিটিএফআই)-র উদ্যোগে ২০১০-২০১১ সালে দেশে যে প্রতিযোগিতা হয়েছে সেগুলি বিচার করে আয়োজক হিসাবে সেরা হল নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার দিল্লিতে টিটিএফআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় ওই ঘোষণা হয়। ২-৮ জানুয়ারি শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসাবেই এ দিন সেরার সম্মান তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারের ট্রফিও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেনে খুশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির মুখ্য পৃষ্ঠপোষক গৌতম দেব। তিনি বলেন, “টিটিএফআই কর্তৃপক্ষ যে সম্মান দিয়েছেন তা জেনে খুবই ভাল লাগছে। আমরা চেয়েছিলাম প্রতিযোগিতার আয়োজনের বিভিন্ন দিকগুলি সুন্দর করে তুলতে। স্পনসর জোগাড় করা থেকে স্টেডিয়াম সাজিয়ে তোলা প্রতিটি দিকেই লক্ষ্য রাখতে হয়েছিল। আশা করি টিটিএফআই কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে উত্তরবঙ্গে আরও বড় খেলার আয়োজনের সুযোগ দেবেন।” পুরসভাও আয়োজনে সাহায্য করে। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “আমরা আনন্দিত। এ ধরনের কাজে ভবিষ্যতেও পুরসভার তরফে সমস্ত সহযোগিতা হবে।” টিটিএফআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিনিয়র, যুব এবং জুনিয়র, সাব জুনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতা ছাড়াও জোনাল, ইন্টার ইন্সস্টিটিউশন টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। শ্রেষ্ঠ বিচার করতে যে বিষয়গুলি বিবেচনাধীন ছিল তার মধ্যে রয়েছে স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো, খেলার পরিবেশ, নিয়ম, শৃঙ্খলারক্ষা। নির্ধারিত সময়ে সূচি মেনে সমস্ত কাজ করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ছয় শতাধিক টেবল টেনিস খেলোয়াড় এবং তাঁদের অভিভাবকেরা এসেছিলেন। বাইরে থেকে এসেছিলেন প্রতিযোগিতা পরিচালনার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও। তাঁদের থাকা খাওয়া, যাতায়াতের সুব্যস্থা সমস্ত বিষয়টিই দেখা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের পছন্দ মতো খাবারের মেনু রাখা হয়েছিল। বহিরাগতদের স্বাগত জানাতে তৈরি হয় বিশেষ অভ্যর্থনা কমিটি। শহরের বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছিল প্রতিযোগী, কমকর্তাদের। আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয় হোটেলগুলি। শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যেখানে খেলা হয়েছে পুরসভার তরফে তা সংস্কারের পর রং করে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। আলোকসজ্জা, ফোয়ারা কিছুই বাদ যায়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও বিশেষ উদ্যোগী হন। ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য তাঁর দফতর থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে লাগান হয়েছিল টেবল টেনিস খেলোয়াড়দের কাট আউট। ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নিজে উদ্যোগী হয়ে ওই দিন নৈশভোজের আয়োজন করেন গৌতমবাবু। নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মান্তু ঘোষ বলেন, “সকলের সহায়তাতেই, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, মেয়র যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন তাতে প্রতিযোগিতার আয়োজন ভাল করে করা সম্ভব হয়েছে।” এ দিন দিল্লিতে নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে পুরস্কার নিতে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংস্থার অন্যতম সুব্রত রায়। টিটিএফআই-এর সেক্রেটারি জেনারেল ধনরাজ চৌধুরীর হাত থেকে তিনি পুরস্কার, মানপত্র নেন। সুব্রতবাবু জানান, এর আগেও ২০০৮ সালে সিনিয়র জাতীয় টেবল টেনিস প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসাবেও তারা একই সম্মান পেয়েছিলেন। |