সাইক্লোথনে উন্মাদনা, আক্ষেপও |
আবার ক্রিং ক্রিং.....ক্রিং ক্রিং।
যে যুবভারতী ফুটবল তারকাদের নামের জয়ধ্বনি শুনতে অভ্যস্ত, রবিবার সকালে সেই যুবভারতী গমগম করে উঠল সারি সারি সাইকেলের ধ্বনিতে।
অন্ধকার চিরে ভোরের সূর্য তখনও উঁকি মারেনি। তার আগেই যুবভারতীর প্রধান গেটের সামনে বসে পড়েছে দু’চাকার মেলা। আট বছরের ছোট্ট সিধু থেকে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই প্রবীর সাহা সবার চোখেই যেন ‘টিনএজারের’ উন্মাদনা। হাতে একটাaসাইকেল। পাঁচ হাজারের উপর প্রতিযোগী। সাইক্লিস্টদের উৎসাহ দিতে ছিলেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া এবং টলিউড নায়ক হিরণ। |
সাইক্লোথন নিয়ে শহরবাসীর এই স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখে ভারতীয় সাইক্লিস্ট সংস্থার সচিব ওঙ্কার সিংহ বললেন, “সাইকেল সবার কাছেই আকর্ষণীয়। তবে আশা করিনি এখানে এত লোক হবে। একটা ফুটবল, একটা ক্রিকেট ব্যাট আর একটা সাইকেল। একটা বাচ্চাকে এই তিনটে জিনিসের মধ্যে একটাকে বেছে নিতে বললে, সাইকেলই কিন্তু হবে তার প্রথম পছন্দ।”
কলকাতা সাইক্লোথন ২০১২-র চ্যাম্পিয়ন হলেন পঞ্জাবের সরপ্রীত সিংহ। গত বছর কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নিয়েছিলেন সরপ্রীত। বললেন, “আমার লক্ষ্য পরের বছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। একটা পদক আনবই।” দ্বিতীয় হলেন মেরঠের অরবিন্দ পওয়ার, তৃতীয় হরিয়ানার পঙ্কজ কুমার। এলিট প্যানেলে মোট ৮৯ জন অংশ নেন। বাংলা থেকে সাত জন। নদিয়ার নরেশ পাল এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের সুজন কর্মকার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী।
প্রবল উৎসাহের মধ্যে ভেসে উঠল হতাশা এবং আক্ষেপও। ভারতে যেখানে ১৬-১৭টা ভেলোড্রোম আছে, সেখানে বাংলার ঝুলি ফাঁকা। ভেলোড্রোম তো দূরের কথা, খালি রাস্তাতেও অনুশীলন করার জায়গা পাচ্ছেন না রাজ্যের সাইক্লিস্টরা। রাজ্য সাইক্লিস্ট সংস্থার সচিব বাণী ঘোষ বললেন, “রাস্তায় চালাতে পারব না। সকালে যুবভারতীতেও প্র্যাক্টিসের উপায় নেই। তখন লোকে মর্নিং ওয়াক করে। আমরা কোথায় যাব?” |