রবিবার আরামবাগ কথামৃত পাঠচক্রের উদ্যোগে রামকৃষ্ণ ভাবানুরাগীদের নিয়ে ‘ভক্ত সম্মেলন’ হয়ে গেল। আরামবাগ হাইস্কুলের স্বামী বিবেকানন্দ সভাগৃহে এই সম্মেলনে কয়েকশো মানুষ যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বনাথানন্দ-সহ ১২ জন সন্ন্যাসী। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠান, আলোচনা এবং সমবেত জপ-ধ্যান হয়। বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী প্রজ্ঞাত্মানন্দ। অন্য দিকে, কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে আজ, সোমবার থেকে স্থানীয় লাহাবাজার মাঠে শুরু হচ্ছে ‘কৃষিমেলা’। মেলা চলবে তিন দিন। হুগলি জেলার কৃষি ও কৃষকদের সমস্যা নিয়ে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কামরাপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বনাথানন্দ।
|
মোটরবাইকে চড়ে এসে ভর সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে এক দম্পতিকে কুপিয়ে, গলার নলি কেটে খুন করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ওই দম্পতির কলেজ-পড়ুয়া মেয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। রবিবার হুগলির খন্যানের মুল্টি গ্রামের ঘটনা। নিহতদের নাম মোহিত সরকার (৫০) এবং লতা সরকার (৩৮)। তবে, কী কারণে ওই দম্পতিকে খুন করা হল তা স্পষ্ট নয়। ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) সমীরকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুনের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, প্রচণ্ড আক্রোশে দুষ্কৃতীরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, খন্যান স্টেশন থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে মোহিতবাবুদের বাড়ি। মোহিতবাবু সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। বর্তমানে কলকাতায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছিলেন। এ দিন ওই দম্পতি এবং তাঁদের মেয়ে মৌসুমী বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দু’টি মোটরবাইকে চেপে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী বাড়িতে আসে। ওই দম্পতির সঙ্গে দুষ্কৃতীদের বচসা হয়। আচমকাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোহিতবাবুকে কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। পালাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে ধরা পড়ে যান লতাদেবী। তাঁকেও রেয়াত করেনি দুষ্কৃতীরা। |