বেহাল স্লুইস গেট, চাষের জলে সমস্যা |
দীর্ঘদিন ধরে কানা দামোদরের বাঁধের স্লুইস গেট বেহাল। ফলে, বোরো চাষে জল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর এবং সংলগ্ন কয়েকটি এলাকায়।
জগৎবল্লভপুর-১ পঞ্চায়েতের ইছানগরী গ্রামের ধোপাখানার কাছে কানা দামোদরের বাঁধের স্লুইস গেটটি বেশ কয়েক বছর আগে ডিভিসি-র জলের তোড়ে ভেঙে যায়। তার পর থেকে এটি আর মেরামত করা হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এক সময় বর্ষাকালে ডিভিসি-র ছাড়া জল কানা দামোদরে এসে পড়ত। স্লুইস গেটের মাধ্যমে সেই জল ধরে রাখা হত। ওই ধরে রাখা জলে বোরো মরসুমে চাষ করা হত। কিন্তু গেটটি ভেঙে যাওয়ায় চাষের জন্য আর জল ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাষিরা মাটি ভর্তি করে এবং টিনের বেড়া দিয়ে জল ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয় না।
এ দিকে, পর্যাপ্ত জল না-মেলায় জগৎবল্লভপুর-১ পঞ্চায়েত, আমতা-১ ব্লকের বসন্তপুর এবং সংলগ্ন হুগলির কোতলপুর গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় বোরো চাষ মার খাচ্ছে। ইছানগরীর বাসিন্দা মৈনুদ্দিন মল্লিক বলেন, “স্লুইস গেটটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না-হওয়ায় জল পেতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন মহলে আবেদন করার পরেও গেটটি মেরামত করা হয়নি।” ধান, গম, আলু এবং সর্ষে চাষেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন।
জগৎবল্লপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বেবি নস্কর বলেন, “আমরা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে স্লুইস গেটটি মেরামত করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এটি মেরামত করা কার্যত অসম্ভব।” একই কথা জানিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নাদুচরণ বাগ বলেন, “আর্থিক সমস্যার জন্য আমরা এই স্লুইস গেটটি মেরামত করতে পারিনি। বিষয়টি আমরা জেলা পরিষদে জানিয়েছি।”
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায় জানান, মেরামতির কাজ করবে সেচ দফতর। তিনি বলেন, “সেচ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে কবে মেরামতির কাজ হবে তা বলতে পারব না।” |