অবৈধ নির্মাণ সরাতে নির্দেশ আরামবাগে |
অবৈধ নির্মাণ সরানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে আরামবাগ মহকুমা আদালত চত্বর ও সংলগ্ন মহকুমাশাসকের দফতর-সংলগ্ন সরকারি জায়গা থেকে।
এই চত্বরে সরকারি জায়গা বেদখল হচ্ছিল বহু দিন ধরেই। বহু দোকান, গুমটি ঘর তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে আদালত-সংলগ্ন অবৈধ দোকানগুলিতে আগুন লাগে। তিনটি দোকান ভস্মীভূত হয়। হাত খানেক দূরে বিচারক আবাসন থেকে ওই দৃশ্য চোখ এড়ায়নি অনেকের। বুধবার সকালেই আরামবাগ আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অমরেন্দ্রনাথ রায় অবৈধ নির্মাণের সমস্যার নিয়ে কথা বলেন আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী এবং এসডিপি আকাশ মাগারিয়ার সঙ্গে। |
মহকুমাশাসক ওই দিনই নোটিস জারি করা হয়। আজ, সোমবারের মধ্যে অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে ফেলতে বলা হয় ওই নোটিসে। কারও বৈধ কাগজপত্র থাকলে, তা-ও সোমবারের মধ্যে দেখাতে বলা হয়। এর পর কোনও নোটিস ছাড়াই যে কোনও সময়ে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। আদালতের আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি অপরিসর হয়ে পড়ায় নিরাপত্তার অভাব আছে বলেও প্রশাসনের কর্তাদের দাবি।
এ দিকে, মহকুমাশাসকের এই নির্দেশে মাথায় হাত সংশ্লিষ্ট দখলদারদের। ওই এলাকায় গোটা ২৫ বিভিন্ন দোকান, গুমটি আছে। এ ছাড়াও সংলগ্ন একটি পুকুরের পাড়ে প্রায় ৬০টি বাড়ি আছে। সেখানে নানা অবৈধ কাজকর্ম হয় বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। চায়ের দোকানি বাবলু দে বলেন, “২০-৩০ বছর ধরে এখানে দোকান চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করছি। আমাদের কোনও বৈধ কাগজ নেই ঠিকই। কিন্তু আদালতে আসা লোকজন, আইনজীবী এমনকী বিচারকেরাও তো আমাদের থেকেই চা, ভাত খান অনেকে। আমরা যাতে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারি, সেই আবেদন জানানো হবে মহকুমাশাসকের কাছে।” প্রশাসনের নোটিসের প্রতিবাদে আজ, সোমবার সমস্ত দোকান বন্ধ রাখছেন ব্যবসায়ীরা। |