ভ্রাতৃবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার ভাসুর |
দূরসম্পর্কের ভাসুরের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক বধূ।
সেই ‘অপরাধে’ ওই তরুণী ও তাঁর স্বামীর উপরে ভাসুর লোকজন নিয়ে চড়াও হন বলেও অভিযোগ। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ভাসুরকে। মারধরের অভিযোগে ধরা পড়েছেন গত বিধানসভা ভোটে গোঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকুমার বাগও।
ঘটনাটি গোঘাটের হাজিপুর গ্রামের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বিয়ে হয়েছে মাস আটেক আগে। স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। বধূর অভিযোগ, স্বামীর অনুপস্থিতির ‘সুযোগ’ নিয়ে তাঁকে নানা ‘কুপ্রস্তাব’ দিতেন খুড়তুতো ভাসুর তারকনাথ মল্লিক। শুক্রবার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ভাসুর ফের ‘কুপ্রস্তাব’ দেন তাঁকে। প্রতিবাদ করলে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। ওই বধূ চিৎকার-চেঁচামিচি জুড়লে পালিয়ে যান তারকনাথবাবু।
শনিবার স্বামী বাড়ি ফিরলে সন্ধের দিকে থানায় নালিশ জানান ওই তরুণী। অভিযোগ, থানা থেকে বাড়ি ফিরতেই ওই দম্পতির উপরে লোকজন নিয়ে চড়াও হন তারকনাথবাবু। ওই দলে ছিলেন সুকুমারবাবুও। মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাঁদের উপরে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ‘প্রস্তাব’ মানতে না চাওয়ায় ওই দম্পতিকে মারধর করা হয়। সেই অভিযোগও দায়ের হয় থানায়। ওই রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে তারকনাথ এবং সুকুমারবাবুকে।
ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তারকনাথকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আরামবাগ মহকুমা আদালতের বিচারক। মারধরের অভিযোগের শুনানির জন্য ধৃত বিজেপি নেতা ও তারকনাথবাবুকে আজ, সোমবার তোলা হবে আদালতে।
গোঘাটের বিজেপি নেতা চিন্ময় মল্লিকের দাবি, সমস্যার মীমাংসার জন্য সুকুমারবাবুকে বাড়িতে ডেকে এনেছিলেন তারকনাথ। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। |