শুরু হল বার্নপুর উৎসব। শনিবার এই উৎসবের উদ্বোধন করেন আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। হিরাপুর থানা মাঠে আয়োজিত এই উৎসব চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এই উৎসব উপলক্ষে একই ছাদের তলায় রয়েছে বইমেলা, খাদ্যমেলা, ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞানভিত্তিক মডেল প্রদর্শনী ও পুষ্প প্রদর্শনী। বিভিন্ন দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন অনুপ ঘোষাল, অনুপম রায়, পূর্ণদাস বাউল, সান্ত্বনা রায়চৌধুরী-সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পী। ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে ‘বিবেকানন্দের জীবন ও দর্শন প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনাচক্র। শেষ দু’দিনের আকর্ষণ যাত্রানুষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এ বারও মেলায় ভিড় জমাচ্ছেন বার্নপুর শহর ছাড়াও ছোটদিঘারি, পুরুষোত্তমপুর, সূর্যনগর, ডিহিকা, হিরাপুরের মানুষজনও। এ বার উৎসবের তোরণটি তৈরি করা হয়েছে বেলুড় মঠের আদলে। |
২০০৪ সালে শুরু হয় এই উৎসব। গত বছর পর্যন্ত এই উৎসবের সম্পাদক ছিলেন অমিয় মুখোপাধ্যায়। অমিয়বাবু জানান, ইস্কোর আধুনিকীরণের পরে কারখানাকে কেন্দ্র করেই এই উৎসবের তাগিদ অনুভূত হয়। পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের তৈরি হয়েছিল উৎসব কমিটি। তিনি বলেন, “এ বার আর উৎসব কমিটির তরফে ডাক আসেনি। তাই আর যাইনি।” যদিও উৎসব কমিটির নতুন সম্পাদক প্রবোধ রায় দাবি করেন, সকলকেই উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তবে উৎসব যাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হোক না কেন, তাতে বিচলিত নন সাধারণ মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক বিকাশ গায়েনের কথায়, “এ বছর মেলা ৮ বছরে পা দিল। সকলের সহযোগিতায় এই উৎসব মিলন মেলায় পরিণত হোক, এটাই চাই।” প্রবোধবাবু বলেন, “সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই উৎসব শহরের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে, এটাই আমাদের আশা।” |