টুকরো খবর |
রাস্তা সংস্কারের দাবি, অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চারদিকে খানাখন্দ। গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে গাড়ি। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। সমস্যায় পড়ছেন পথচলতি সাধারণ মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানালেও কাজ হয়নি। প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ভাদুতলায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। সকাল ন’টা নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলে। মেদিনীপুর শহরের পাশ দিয়েই চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শহর পেরিয়ে শালবনির দিকে এগোলেই পড়ে কেরানিচটি, ভাদুতলা। ভাদুতলা পৌঁছনোর কিছু আগেই কালভার্ট রয়েছে। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
সংলগ্ন রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে, দিনের বেলাতেই দুর্ঘটনা ঘটছে। সন্ধের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। গত এক মাসে ভাদুতলা ও তার আশপাশ এলাকায় কয়েকটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে চার জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার সকালে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। অবরোধে সামিল উজ্জ্বল দত্ত, নিমাই ভুঁইয়া, সুখলাল সরেনদের বক্তব্য, “প্রায়শই রাতে দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ, রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হচ্ছে না প্রশাসন।”
|
ছাত্র পরিষদের অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
নিজস্ব চিত্র। |
রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে মারধর ও কলেজে ঢুকে তাণ্ডবের প্রতিবাদে শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ করল ছাত্র পরিষদ। মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় বেলা ১২টায় অবরোধ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ থাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। খড়্গপুর, ডেবরা, সবং, ঘাটাল প্রভৃতি এলাকাতেও পথ অবরোধ করে ছাত্র পরিষদ। সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারন মানুষ। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরাই কলেজ ক্যাম্পাসে অশান্তির আবহ তৈরি করছে। বুকে কালো ব্যাজ পরে এ দিন কলেজে-কলেজে ‘কালা দিবস’ও পালন করে ছাত্র পরিষদ। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “রায়গঞ্জের ঘটনা মা-মাটি-মানুষের সরকারের লজ্জা। এ ধরনের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখা উচিত।”রায়গঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিল করেছে এসএফআইও। এ দিন বিকেলে মেদিনীপুর শহরেও মিছিল হয়। নেতৃত্ব দেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা, জোনাল সম্পাদক অসিত লৌহ প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা কলেজে কলেজে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছেন। তাতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরাও আতঙ্কিত। সৌগত বলেন, “কলেজে নৈরাজ্য সৃষ্টি চেষ্টা হলে ছাত্রছাত্রীরাই রুখে দাঁড়াবেন।”
|
সাইকেল বিলি শুরু সদরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
নিজস্ব চিত্র। |
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের সাইকেল বিলি শুরু হল মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকায়। এর আগে তফসিলি উপজাতি ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নতুন সরকার জঙ্গলমহল এলাকার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রীকেই সাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার মাওবাদী অধ্যুষিত বলে পরিচিত মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকার ছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিলি শুরু হয়েছে। এ দিন ধেড়ুয়া, মণিদহ এলাকার শতাধিক ছাত্রীর হাতে সাইকেলের চাবি তুলে দেন বিডিও অয়ন নাথ। এই উপলক্ষে ব্লক অফিস প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জানা গিয়েছে, এর আগে সদর ব্লকের ২৯৫ জন তফসিলি উপজাতি ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ১০৮৪ জন ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৮৪৬টি সাইকেল বরাদ্দ হয়েছে। বাকি সাইকেলও শীঘ্রই চলে আসবে।
|
ধান কেনা শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শুক্রবার একটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ধান কেনা হল শালবনির মণ্ডলকুপিতে। সহায়ক মূল্যে স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকেই ধান কেনা হয়। জেলায় এ বার ধানের ফলন বেশি হয়েছে। অথচ, সরকারি উদ্যোগে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার গতি অত্যন্ত শ্লথ বলেই অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে গতি আনতে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, সমবায় সমিতির মাধ্যমেই সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় এ ভাবে ধান কেনা হয়েছে। শুক্রবার মন্ডলকুপিতে সিদাডিহি সমবায় সমিতির উদ্যোগে ধান কেনা হয়। সমিতির কর্তা নেপাল সিংহ বলেন, “এর ফলে চাষিরাই উপকৃত হচ্ছেন।”
|
নাটক প্রতিযোগিতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আজ, শনিবার জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে হবে আদিবাসী ভাষায় রচিত একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা। জেলা অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান। বিকেল ৩টেয় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য প্রমুখ। নাটকের ক্ষেত্রে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের উৎসাহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে খবর, এ বারের প্রতিযোগিতায় মোট ১৬টি দল যোগ দেবে। ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতার যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হয়েছে। অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ বিভাগের জেলা আধিকারিক রাহুল নাথ জানান, জেলাস্তরে সফলরা রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে। |
|