কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের অভিমত, শান্তির যে কোনও বিকল্প হয় না, দেরিতে হলেও তা বুঝতে পারছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। রাজধানীতে সপ্তম উত্তর-পূর্ব বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তৃতায় এমন কথাই শোনা গেল চিদম্বরমের মুখে। চিদম্বরম মনে করেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গি সংগঠনগুলি বুঝতে শুরু করেছে যে, হিংসা ছেড়ে শান্তির পথে আসাই শ্রেয়। কারণ হিংসা দিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনও কিছুরই সমাধান হয় না।
চিদম্বরম বলেন, “রাষ্ট্র কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না। তাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই যে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে তা জঙ্গিরা বুঝছে।” মন্ত্রীর অভিমত, জঙ্গিদের এই বোধোদয় হয়েছে বলেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিংসাত্মক কার্যকলাপ এখন তুলনামূলক ভাবে কমছে। আলফা, বড়ো, নাগাসব জঙ্গিরাই এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। ছোটখাটো আরও বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনও এখন কথা বলতে চায়। চিদম্বরমের আশা, নতুন বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিংসা আরও কমবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, “মনে রাখতে হবে, উত্তর-পূর্বে বাস করে ২৭০টি জাতি ও উপজাতি। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি সবই পৃথক। এই বৈচিত্র যেমন এই অঞ্চলের অনন্য সম্পদ তেমই বহু ক্ষেত্রে বিরোধেরও কারণ। দেশের এই অংশটা যে কেবল ‘সংঘর্ষভূমি’ নয়, বাকি দেশের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে এখানকার রাজ্যগুলিকেই।
চিদম্বরম জানান, এত দিন অপহরণ এবং মুক্তিপণের মাধ্যমেই নিজেদের সংগঠনের খরচ চালাত জঙ্গিরা। কিন্তু গত বছর অপহরণের হার অনেকটা কমেছে। চলতি বছরে পরিস্থিতি আরও শুধরোবে বলে আশাবাদী চিদম্বরম। |