বরাক উপত্যকায় আরও গ্যাসের সন্ধান মিলল। ওএনজিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, বাঁশকান্দি, আদমটিলা ও ভুবনডহরের পর এ বার গ্যাস মিলেছে করিমগঞ্জ জেলার পাথারিয়ায়। জায়গাটি করিমগঞ্জ শহর থেকে সাত কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরে। গত বছর ২ অগস্ট সেখানে কূপ খনন শুরু করে ওএনজিসি। ১৭ অক্টোবর ভূগর্ভে ১৪০২ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খনন চলে। এর মধ্যে দু’বার গ্যাসের চাপ টের পাওয়া যায়। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এক জায়গায় এর ঘনত্ব দৈনিক ৯ হাজার ৪০০ কিউবিক মিটার, অন্য জায়গায় ৪ হাজার ৮২০ কিউবিক মিটার।
ওএনজিসি-র বোর্ড মিটিংয়ের পর পাথারিয়ার গ্যাসপ্রাপ্তি-সহ চার জায়গায় সফল খননের কথা সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়। এই সভাতেই নতুন ক্ষেত্রগুলিতে রিজার্ভার স্টাডির অনুমোদন দেওয়া হয়। সমীক্ষার পরই বোঝা যাবে, কোথায় কত গ্যাস বা তেল মজুত রয়েছে এবং তা উত্তোলন করে কতটা বাণিজ্যিক সাফল্য মিলবে। তবে পাথারিয়ায় প্রচুর গ্যাস মিলবে বলে আশাবাদী ওএনজিসি-কর্তারা।
ওই সংস্থা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অসমের সুবনসিরি উপত্যকার খোরাঘাট-নাম্বার এলাকাতেও তেলের খোঁজ মিলেছে। এ ছাড়া গুজরাতের দু’টি স্থানেও তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বরাক উপত্যাকায় কাছাড়ের বাঁশকান্দি ও ভুবনডহর এবং করিমগঞ্জের আদমটিলাতে আগেই গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে ভুবনডহরে এখনও উত্তোলন শুরু হয়নি। অন্য দুই জায়গার গ্যাসের উপর নির্ভর করে দুটি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলে ডিএলএফ। বাঁশকান্দির প্রকল্পটি এখনও চলছে। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় আদমটিলার প্রকল্পে গত বছর উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। এই জেলার পাথারিয়ায় এখন নতুন গ্যাস ভাণ্ডারের সন্ধান পাওয়ায় নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। তাঁরা মনে করছেন, প্রকল্পটি আবার চালু হতে পারে। মানুষ যা-ই মনে করুন, ডিএলএফ-এর কর্মকর্তারা কিন্তু এতটা আশাবাদী নন। তাঁদের অভিমত, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটা টারবাইন ঘোরাতে গাসের চাপ থাকা চাই ৩২ থেকে ৩৩ হাজার কিউবিক মিটার। কিন্তু ওএনজিসি-র প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, পাথারিয়ায় তা দশ হাজার কিউবিক মিটারও নয়। |