কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (সিএমইআরআই)-এর একটি গবেষণাগারে আগুন লাগে শুক্রবার। নিজস্ব অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার পাশাপাশি দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে নামে। আসবাবপত্র ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ক্ষতি হয়েছে। কী ভাবে আগুন লেগেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানতে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গড়েছেন। |
সিএমইআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভবনের একতলায় অবস্থিত ‘অ্যাডভ্যান্সড ডিজাইন অ্যান্ড অপটিমাইজেশন ল্যাবরেটরি’তে এ দিন ভোর রাতে আগুন লাগে। সকালে ওই গবেষণাগারের দরজার তালা খুলে প্রথম সংস্থার কর্মীরা আগুন দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পাঠান। চলে আসেন প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা বিভাগের প্রধান শঙ্কর রায়। আগুন নেভাতে ভবনের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কাজে লাগানো শুরু হয়। ভিতরের প্রবল ধোঁয়ায় কর্মীরা ঢুকতে পারছিলেন না। খবর দেওয়া হয় দমকলে। একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আধ ঘণ্টার মধ্যে আগুন আয়ত্তে আসে। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সংস্থার ডিরেক্টর বিজ্ঞানী গৌতম বিশ্বাস। দাঁড়িয়ে থেকে আগুন নেভানোর কাজ তদারক করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুলিশকেও আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে।
আগুন নেভার পরে ভিতরে ঢুকে সংস্থার কর্মীরা দেখতে পান, পুড়ে গিয়েছে ঘরের আসবাবপত্র। আলমারির মধ্যে থাকা কাগজপত্র আংশিক পুড়ে গিয়েছে। কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। গবেষণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেই ক্ষতির পরিমাণ কত, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। বদ্ধ ঘরে কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা-ও স্পষ্ট নয়। তবে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। সিএমইআরআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কী ভাবে আগুন লেগেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ফের এমন ঘটনা রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও এই কমিটি করবে। |