|
|
|
|
ঢিলেমির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের পরও মালদহের চাঁচল মহকুমার ৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। বরাদ্দের দু’বছর বাদেও ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো গড়ার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ১০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করার কথা। দু’বছর আগেই ঘোষণা করে স্বাস্থ্য দফতর। ওই হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো তৈরির কাজ করছে জেলা পরিষদ। পরিকাঠামো গড়ার কাজ নিয়ে জেলা পরিষদের কর্তাদের এ মনোভাবে উদ্বিগ্ন স্থাস্থ্য দফতরও। এনআরএইচএম প্রকল্পের টাকা না মেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির কাজ ধীর গতিতে চলছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। চাঁচলের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভবন তৈরির কাজ অনেকটাই হয়েছে। তা সম্পূর্ণ হওয়ার পর ভবন হস্তান্তর হবে। তার পরে শয্যা-সহ উন্নীতকরণের কাজ হবে। হস্তান্তর না-হওয়ায় পুরানো পরিকাঠামোতেই কাজ চলছে। যে ৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নীত হয়েছে সেগুলি হল হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা, চাঁচল-১ ব্লকের নদিসিক, চাঁচল-২ ব্লকের খেমপুর, রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা ও রতুয়া-২ ব্লকের কুমারগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। শয্যাবিহীন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ১০টি করে শয্যা থাকবে। চিকিৎসক থাকবেন ৫ জন। নার্স থাকার কথা ৪ জন। প্রতিটি কেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়ায় গড়ে ৭০ লক্ষ টাকা করে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্প বরাদ্দ করেছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মোস্তাক আলম বলেন, “এনআরএইচএম প্রকল্পে তৃতীয় কিস্তির টাকা না দেওয়ায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।” জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের দিকে। |
|
|
|
|
|