|
|
|
|
২৫ গ্রামের মাছ রোগীর পাতে, দেখলেন স্বাস্থ্যকর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া ও কালনা |
এক টুকরো মাছ নিয়ে হইচই। রবিবার দুপুর দেড়টা। ঘটনাস্থল কাটোয়া হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাক এ দিন দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। ঠিক সেই সময়েই রোগীদের খাবার দেওয়া হচ্ছিল পুরুষ ওয়ার্ডে। মাছের ওজন দেখে স্বাস্থ্যকর্তার চোখ কপালে। মাছের ওজন যেখানে হওয়া উচিত ৬০-৭৫ গ্রাম, সেখানে রোগীদের পাতে পড়ছে মেরেকেটে ২৫ গ্রাম ওজনের মাছ। শ্যামাপদবাবু হাসপাতাল সুপার সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, কেন এ ভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে রোগীদের সঙ্গে। সুপারের দাবি, “ঠিকাদার কারও কথা শোনেন না। বার বার তাঁকে বলা হয়েছে। কিন্তু খাবারের মানোন্নয়ন হয়নি।” এর পরে হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক, নার্সরা একযোগে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা তন্ময় মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন শ্যামাপদবাবু। |
|
কাটোয়া হাসপাতালে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। নিজস্ব চিত্র। |
ঠিকাদার শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, “যে মাছের টুকরো নিয়ে এত জলঘোলা হল, তা ছিল শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট।” কিন্তু সেই মাছ পুরুষ বিভাগে পৌঁছল কী ভাবে, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। ঠিকাদারের জবাব, “সেটা খুঁজে বের করতে হবে।”
এর পরে হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ড-ও ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। হাসপাতাল কতৃর্পক্ষকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ-ও তিনি দেন। সন্ধ্যার দিকে শ্যামাপদবাবু পৌঁছন কালনা হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন কালনার এসিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। জানা গিয়েছে, তিনি হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার বেশ কিছু পরামর্শ দেন সুপারকে। কথা বলেন সাফাইকর্মীদের সঙ্গেও। এছাড়া হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন তিনি। সুপার অভিরূপ মণ্ডল জানিয়েছেন, দমকলের পরামর্শ অনুযায়ী অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা হয়েছে। |
|
|
|
|
|