টুকরো খবর
ফিনাইল-কাণ্ডে তদন্ত দাবি মন্ত্রীর
বালি পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদনে ভর্তি কাজল ঘোষালের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার কেদারনাথ আরোগ্যভবন নামে ওই মাতৃসদনে অন্তঃসত্ত্বা কাজলদেবী আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাতে আসেন। আল্ট্রাসোনোগ্রাফির আগে ডাক্তারেরা তাঁকে জল খেতে বলেন। টেবিলে রাখা বোতলের ‘জল’ খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, “হাসপাতাল-কর্মীরাই বলেন, বোতলে জল আছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বুঝতে পারি অন্য কিছু খেয়েছি।” রবিবার হাসপাতালে কাজলদেবীকে দেখতে আসেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। জলের বোতলে কী ভাবে ফিনাইল মিশল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন তিনি। অরূপবাবু বলেন, “সিপিএম পুরসভা পরিচালিত ওই মাতৃসদনে পরিকাঠামোর হাল কী, তা খতিয়ে দেখতে আমি গোটা বিষয়টি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়েছি।” কাজলদেবীর স্বামী কাশীনাথ ঘোষালের অভিযোগ, “এখনও ওঁর বুক-পেট জ্বালা করছে। হাসপাতালের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রী বা সন্তানের ক্ষতি হলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”

বর্ধমানের ৫ স্বাস্থ্যকর্তাকে ‘শো-কজ’
আগাম নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাকের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় ‘শো-কজ’ করা হচ্ছে বর্ধমানের পাঁচ স্বাস্থ্য আধিকারিককে। রবিবার এ খবর জানান খোদ শ্যামাপদবাবু। এ দিন তিনি বর্ধমান জেলার নানা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে বেরনোর আগে বর্ধমান শহরে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ওই বৈঠকে ছিলেন না জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন চক্রবর্তী, জেলা প্রসূতি ও শিশু-স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র ঘোষ, জেলা কুষ্ঠ আধিকারিক সঞ্জয় প্রসাদ, এসিএমওএইচ (সদর) তপন বিশ্বাস এবং এসিএমওএইচ (প্রশাসন) সোনালি দাস। শ্যামাপদবাবু বলেন, “নির্দেশ থাকলেও বৈঠকে হাজির না থাকায় ওই পাঁচ আধিকারিককে শো-কজ করা হচ্ছে।” এ দিন বহু চেষ্টা করে সুভাষবাবু এবং সোনালিদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। সুভাষবাবু জানান, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। সোনালিদেবীর বক্তব্য, “এ ব্যাপারে সিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলব।” বর্ধমানের সিএমওএইচ তন্ময় মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “শো-কজের কথা আমার জানা নেই।”

বিনামূল্যে চিকিৎসা
হার্টের সমস্যা-সহ একাধিক রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে হাতের কাছে পেয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা করে ওষুধ হাতে নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরলেন প্রায় দেড় হাজার গরিব মানুষ। রবিবার রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর উদ্যোগে শিলিগুড়ির বি ওয়েল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী এলাকায় আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে দিনভর ছিল ভিড়। ত্রিমোহিনী প্রতাপচন্দ্র হাই স্কুলে বিনামূল্যের এই চিকিৎসা শিবির হয়।

রাজ্যে দ্বিতীয়
প্রসব-সংখ্যার নিরিখে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল। এ জন্য স্বাস্থ্যভবন থেকে সম্প্রতি ওই গ্রামীণ হাসপাতালকে আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। শনিবার হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং প্রসূতিদের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে একটি সেমিনার হয়েছে। হাজির ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র, পুরসভার চেয়ারম্যান রামপদ কামিল্লা ও বিডিও সৈকত হাজরা।

চক্ষু পরীক্ষা
যুবসংঘ ক্লাব ও রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে খড়্গপুরে এক চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরে অন্তত ৫০০ জনের চোখ পরীক্ষা এবং ২০০ জনকে বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হয়।

শিবির
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যালায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করল সুকান্তপল্লি সবুজ সঙ্ঘ। রবিবারের এই শিবিরে ৯৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা চোখ পরীক্ষা করান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.