জলা রক্ষায় ২৫ কোটি, পুর-উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
জলাশয় সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যায়ন নিয়ে আলিপুরদুয়ারের পুর চেয়ারম্যান ও বিধায়কের উদ্যোগে নাগরিক কনভেশন হল। শনিবার পুরসভা ভবনে ওই নাগরিক কনভেনশন হয়। ‘ইন্সটিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডি অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ -এর তরফে জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য প্রায় পঁচিশ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশ বিশেষজ্ঞ নিতাই কুণ্ডু। আলিপুর দুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গে প্রথম পরিকল্পিত ভাবে জলাভূমি সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হচ্ছে। জলাভূমি সংরক্ষণে মোট ব্যয়ের ৭০ শতাংশ কেন্দ্র ও ৩০ শতাংশ স্থানীয় প্রশাসনকে দিতে হয়। রাজ্যের পরিবেশ দফতরের কাছ থেকে ওই সংস্থাটি ৩০ শতাংশ ব্যয় অনুমোদন করিয়েছে। এ বার স্থানীয় মানুষদের নিয়ে জলাভূমি সংস্কার করার জন্য এই কনভেনশন ডাকা হয়েছিল। প্রতিটি সংগঠনই দলমত নির্বিশেষে জলাভূমি সংস্কারের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। আগামী দিনে প্রতিটি ওয়ার্ডে আলোচনা সভা করে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।” আলিপুরদুয়ারের পুর চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শহরে বড় কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটলে জলের সমস্যা দেখা দেয়। ইদানিং কালে পুরসভার তরফে বেশ কয়েকটি জলাশয় সংস্কার করা হয়েছে। তবে এ বার জলাশয়গুলিকে সংস্কার, সৌন্দার্যায়ন, পযর্টকদের বসবার জায়গা ও শহরের নিকাশির সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ করা হবে। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করার আগে এলাকার মানুষদের আলোচনা করে পরিকল্পিত ভাবে কাজ করা হবে।” ইন্সিটিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডি অ্যান্ড ওয়েট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ নিতাই কুন্ডু বলেন, “আলিপুরদুয়ার শহরে জলাশয় সংরক্ষণ করে জীব বৈচিত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। ইতিমধ্যে শহরের জলাভূমির স্যাটেলাইট ম্যাপ তৈরী করা হয়েছে। আগামী আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের কাজ শুরু চেষ্টা করা হবে। দখলদারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।” আলিপুর দুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পরিতোস দাস বলেন, “শহরের জলাশয়গুলি সংস্কার করতে উচ্ছেদ-অভিযান হলেও আপত্তি করবে না ব্যবসায়ী সংগঠন।” |