কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পগুলির হালহকিকত খতিয়ে দেখতে ব্লক স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত কমিটি গড়ছে প্রদেশ কংগ্রেস।
ইন্দিরা আবাস যোজনা, রাজীব আবাস যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতো ১৬টি প্রকল্পে নজরদারির জন্য রাজ্য স্তরে এখন যে ১৬ জনের কমিটি রয়েছে, তার সদস্যসংখ্যা বেড়ে হবে ২৫। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিটি ব্লক ও জেলাতেও ২৫ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হবে নজরদারি কমিটি। গ্রাম গ্রামে গিয়ে স্থানীয় ভাবে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রশাসনের কাছেও প্রকল্পগুলির রূপায়ণের হাল জানতে চাইবে এই কমিটিগুলি। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের মানুষকে এই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সচেতন করতে পৃথক দু’টি সভারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
রাজ্যে কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে রবিবার একটি কর্মশালার পরে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিলাস মুত্তেমওয়ার বলেন, “প্রকল্পগুলির মধ্যে অনেকগুলি সম্পর্কে মানুষ জানেনই না। তাঁদের অবহিত করার পাশাপাশি প্রশাসনের কাছ থেকেও প্রকল্পগুলির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেবেন কমিটির সদস্যেরা। কোনও দুর্নীতি বা ত্রুটি নজরে এলে প্রশাসনকে জানাবেন।”
সরকারের কাজের উপরে শরিক দল এ ভাবে নজরদারি চালাতে শুরু করলে প্রধান শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে জোট-শিবিরের একাংশের আশঙ্কা। তবে বিলাস বলেন, “আগেভাগেই বিরোধিতার প্রশ্ন উঠছে কেন? এই প্রকল্পগুলির পরিষেবা মানুষ ঠিকমতো পান, এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না, এমন তো নয়। আর যদি প্রশাসনের তরফে এ কাজের বিরোধিতা হয়ই, তা হলে তা-ও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে জানাবে প্রদেশ কংগ্রেস। হাইকম্যান্ড প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবে।” কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির উপরে নজরদারির জন্য কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের কমিটির চেয়ারম্যান তথা শান্তিপুরের বিধায়ক অজয় দে-র বক্তব্য, “রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা রয়েছে কংগ্রেসের। প্রকল্পগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, তাঁরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকলে তাঁদের সাহায্য করাটাও দায়িত্ব।” |