বাম পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে বস্তিবাসীদের জন্য গৃহ নির্মাণের কাজ না করার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল পুরপ্রধান। বাঁকুড়ার পুরপ্রধান তৃণমূলের শম্পা দরিপা রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জওহরলাল নেহেরু ন্যাশানাল আরবান মিশন প্রকল্পে ওই ঘর না তৈরি করার অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “বস্তিবাসীদের গৃহ নির্মাণ করার জন্য ওই প্রকল্পে ৬ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতবারের বাম পরিচালিত পুরবোর্ড প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ‘ম্যাচিং গ্রান্ট’ না দেওয়ায় ওই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যায়নি।” তিনি জানান, পুরসভার ক্ষমতায় এসে তাঁরা সাত লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। এর পরে কেন্দ্রের টাকাও পাওয়া গিয়েছে। বস্তিবাসীদের গৃহ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। মোট ৪১৫টি বাড়ি তৈরি হওয়ার কথা। একই সঙ্গে ওই এলাকার রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল ও নিকাশী ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে। বাম পুরবোর্ডের পুরপ্রধান তথা বর্তমান বিরোধী দলনেত্রী সিপিএমের শিউলি মিদ্যা’র দাবি, “প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু ‘ম্যাচিং গ্রান্ট’ দেওয়ার কোনও সময় সীমা ছিল না। ইতিমধ্যে পুর নির্বাচন চলে আসে। তাই ওই কাজ আমরা শুরু করতে পারিনি।”
|
স্কুল কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। তৃণমূলেরই দুটি গোষ্ঠী পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আর সেই নির্বাচন চলাকালীন স্কুল থেকে বেশ কিছু দূরে বোমাবাজি হল। রবিবার সকালে পাত্রসায়রের হদলনারায়ণপুর হাইস্কুলের ঘটনা। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ কর্মীরা তাড়া করায় দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় ও ব্লক নেতা প্রার্থপ্রতিম সিংহের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই স্কুল নির্বাচনে ওই দুই গোষ্ঠীর মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ায় নির্বাচন হয়। এই স্কুল দীর্ঘদিন পরে গত বছর সিপিএমের কাছ থেকে দখল করে তৃণমূল। গত বছর সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূল নির্বাচনে লড়াই করায় সতর্ক ছিল পুলিশ। এ বার পুলিশ সতর্ক ছিল তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে বলে। দুপুর প্রায় ১২ টা নাগাদ বোমবাজি হয়। স্নেহেশবাবুর অভিযোগ, “আমাদের সমর্থক ভোটারদের ভয় দেখাতেই সিপিএমের দালাল এক নেতা ধগড়িয়ার এক দুষ্কৃতীকে গিয়ে বোমাবাজি করে। পুলিশের সঙ্গে আমাদের কর্মীরা তাড়া করলে ওরা পালায়।” যদিও পার্থপ্রতিমবাবুকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
|
মহিলাদের নিয়ে চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে পথে নামলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র। রবিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর ও স্থানীয় আগয়া গ্রামের দু’টি ঠেকে তাঁরা হানা দেন। তাঁদের দেখে দৌড় লাগান গোবিন্দনগর ঠেকের লোকজন। আগয়া গ্রামে তাঁরা গিয়ে দেখেন কয়েকটি বাড়িতে চোলাই তৈরি হচ্ছে। কাশীবাবু বলেন, “মদের ঠেক ও ভাটি মহিলা কর্মীরা ভেঙে গিয়েছেন। চোলাই ও তার উপকরণও নষ্ট করা হয়। এই অভিযান চলবে।”
|
স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দান করে যাওয়া টাকা থেকে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাগ, জ্যামিতি বক্স, পেন্সিল, রবার দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। শনিবার পুরুলিয়ার গোলামারা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ২০৩ জন সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার ওই উৎসাহ-উপকরণগুলি দেওয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদেরও পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও কেপি সিংহ দেও উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উষ্ণীষমনি মুখোপাধ্যায় জানান, “স্কুল থেকে অবসর নেওয়ার সময় শিক্ষকরা কিছু টাকা দান করেন। সেই তহবিল থেকেই ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য পুরস্কার দেওয়া হল।”
|
দুই জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী তফসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের বি আর অম্বেডকর মেধা পুরস্কার দেওয়া হল। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। শনিবার দুপুরে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সভাকক্ষে ৬৩ জনের হাতে ৫০০০ টাকা ও শংসাপত্র তুলে দেন স্ব-নিযুক্তি ও স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। ওই দিন বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের অফিস চত্বরে এক অনুষ্ঠানে জেলার ৬৩ জনকে ওই সম্মান দেওয়া হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পার্থপ্রতিম মজুমদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক জেলা পরিষদ) অমিত দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
জয়েন্ট বিডিও’রা বেতন বাড়ানোর দাবি তুললেন। রবিবার বাঁকুড়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট ব্লক ডেভলাপমেন্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে এসে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক প্রণবকুমার মণ্ডল এ কথা জানান। তিনি বলেন, “জয়েন্ট বিডিও’দের বেতন কাঠামোর পরিবর্তন করতে হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে এখন ৬ বছর কাজের অভিজ্ঞতা দরকার। তা কমিয়ে চার বছর করতে হবে।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁরা দাবিগুলি জানাবেন। সম্মেলনে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার জয়েন্ট বিডিও’রা যোগ দিয়েছিলেন। |