আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে গেল সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ২০ ডিসেম্বর ওই কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৩টের সময় নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে বলা হয়, ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত মনোনয়নপত্র তুলতে হবে। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ওই সময়ের মধ্যে মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলে তাঁদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। এর পরে টিএমসিপির এক সদস্য থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ করা হয় উচ্চ আদালতেও। তাই আদালত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
তৃণমূলের সাঁইথিয়া শহর সভাপতি মানস সিংহের অভিযোগ, “বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাত্র সংসদ দখলে রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজোস করে আমাদের সদস্যদের মনোনয়ন তুলতে দেওয়া হয়নি।” এই কলেজের ছাত্র সংসদ দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র পরিষদের দখলে। এর আগেও একাধিকবার এই এলাকার বিভিন্ন স্কুলের নির্বাচনকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের মতানৈক্য ধরা পড়েছে। অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের নির্বাচনকে ঘিরে ফের জোটের মতানৈক্য ধরা পড়ল।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই কলেজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো ক্ষমতা নেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। সেক্ষেত্রে যোগসাজোস করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাত্র সংসদ দখলের চেষ্টার অভিযোগ ভিত্তিহীন।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম মণ্ডল বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যাদের বৈধ পরিচিয়পত্র রয়েছে শুধুমাত্র তাদেরকেই মনোনয়ন তোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে।” |