|
|
|
|
প্রাথমিক স্কুলেও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হাসপাতাল, সরকারি অফিসের পাশাপাশি এ বার প্রাথমিক স্কুলেও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী রয়েছে, এমন স্কুলেই আপাতত ফায়ার এক্সটিংগুইশার সিলিন্ডার রাখা হবে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “নিরাপত্তার কথা ভেবেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” জেলার প্রাথমিক ও জুনিয়র স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের পাশেই একটি ঘরে রান্না হয়। ফলে, যে কোনও সময় অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থেকে যায়। অধিকাংশ স্কুলই ঘিঞ্জি এলাকায়। প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যেও অনেক স্কুল রয়েছে। সরু রাস্তা হওয়ায় বড় গাড়ি চলাচল করতে পারে না সেখানে। ফলে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছনো সম্ভব না-ও হতে পারে দমকলের পক্ষে। এই সব অসুবিধার কথা ভেবেই জেলার বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুলে ফায়ার এক্সটিংগুইশার সিলিন্ডার রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও জুনিয়র হাইস্কুল মিলিয়ে আপাতত ৭৮টি স্কুলে এই সিলিন্ডার রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে আরও কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
জেলায় এমন অনেক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে যেখানে তিনশোরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার সিলিন্ডার রাখার ক্ষেত্রে এমন স্কুলকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলগুলির একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির নাম উল্লেখ করে ওই তালিকা পাঠানো হয়েছে এসডিও ও বিডিওদের। সেই সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, আপতত জেলার ৫৭টি প্রাথমিক স্কুল ও ২১টি জুনিয়র হাইস্কুলে এই সিলিন্ডার রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর-১ ব্লকের সতকুই প্রাথমিক স্কুলে ৪৫১ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের মুরাকাটা প্রাথমিক স্কুলে ৩৯৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। গড়বেতা-৩ ব্লকের হাতিখানা প্রাথমিকে আবার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫২০। যে ৫৭টি প্রাথমিক ফায়ার এক্সটিংগুইশার সিলিন্ডার রাখা হবে, তার মধ্যে এই ৩টি স্কুলও রয়েছে। জেলার বেশ কয়েকটি জুনিয়র হাইস্কুলেও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলে ৭০৮ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এই ব্লকেরই খালসিউলি জুনিয়র হাইস্কুলে ১০০৪ জন ছাত্রছাত্রী পড়ে। গড়বেতা-৩ ব্লকের আঁধারনয়ন জুনিয়র হাইস্কুলে আবার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২৭৩। যে ২১টি জুনিয়র হাইস্কুলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, তার মধ্যে এই ৩টি জুনিয়র হাইস্কুলও রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বেশ কিছু স্কুলে ফায়ার এক্সটিংগুইশার সিলিন্ডার রাখার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ আর হয়নি। আমরির ঘটনার পরই এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থ দেবে সর্বশিক্ষা মিশন। |
|
|
|
|
|