|
|
|
|
কেশপুর-গড়বেতার সম্মেলন নিয়ে ফাঁপরে সিপিএম নেতৃত্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘পরিবর্তিত’ পরিস্থিতিতে একদা ‘লালদুর্গ’ পশ্চিম মেদিনীপুরে বেকায়দায় সিপিএম। কেশপুর, গড়বেতার মতো তাদের এক সময়ের ‘গড়ে’ দলীয় সম্মেলন নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় দল। নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া। সম্মেলন করবে কে? অগত্যা মেদিনীপুর শহরে ‘গোপন’ আস্তানায় ‘আরও গোপনে’ সম্মেলনের পরিকল্পনা হচ্ছে। মোবাইলের ‘স্পিকার-অন’ করে ‘পলাতক’ সিপিএম নেতাদের বক্তব্য শোনানো নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে। সম্প্রতি এ ভাবেই মেদিনীপুর শহরে কেশপুর লোকাল কমিটির সম্মেলন হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যদিও অনেক চেষ্টা করেও এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতাদের মুখ খোলানো যায়নি। দলের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারও মন্তব্য করতে রাজি হননি। রাজ্যে পালাবদলের পর শাখা কমিটির সম্মেলন বাতিল করলেও লোকাল, জোনাল ও জেলা কমিটির সম্মেলনের কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএম। চলতি মাসের মধ্যেই জোনাল সম্মেলন শেষ করার কথা। কিন্তু কেশপুর, গড়বেতা-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় লোকাল-স্তরের অনেক সম্মেলনই হয়নি এখনও। ‘সন্ত্রাসে’র ভয়ে অধিকাংশ নেতা-কর্মী ঘরছাড়া। গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন কঙ্কাল-কাণ্ডে জড়িতরাও। তার মধ্যে কেশপুরের দায়িত্বে থাকা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরুণ রায়, কেশপুর জোনাল কমিটির সদস্য এন্তাজ আলি, সম্পাদক আহমেদ আলিও রয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বাড়ি ছাড়া গড়বেতার তপন ঘোষ, সুকুর আলিরাও। বন্ধ হয়ে রয়েছে দলীয় কার্যালয়গুলিও। এই পরিস্থিতিতে কেশপুর, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা রোডের মতো এলাকাগুলির সম্মেলন মেদিনীপুর শহরের কোনও দলীয় কার্যালয়ে বা শ্রমিক-ভবনে হবে বলেই ঠিক হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টিই গোপনীয়তায় মোড়া। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে সম্পাদকীয় প্রতিবেদনও ছাপা হচ্ছে না। হাতে লেখা প্রতিবেদন জেরক্স করে প্রতিনিধিদের দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। কমিটি গড়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও কঙ্কাল-কাণ্ডে বা পার্টির ‘নির্দেশ’ মেনে কাজ করার জন্য যে কর্মীদের নাম পুলিশের খাতায় উঠেছে, তাঁদের নতুন কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে না বলেই ঠিক করেছে জেলা কমিটি। দলের জেলা কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, “ডিসেম্বরের মধ্যেই সব লোকাল-জোনাল সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ থাকলেও গড়বেতা, কেশপুর, চন্দ্রকোনা রোডের মতো এলাকার ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত ওই সময়ের মধ্যেও সম্মেলন সম্ভব না হলে লোকাল অর্গানাইজেশন কমিটি (এলওসি) গড়ে কাজ চালানো হবে।” |
|
|
|
|
|