|
|
|
|
মেদিনীপুর জেলে অচল জেনারেটর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সন্ধ্যার পর লোডশেডিং হলেই ঘন অন্ধকার নেমে আসছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কারণ, দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে জেলের একমাত্র জেনারেটরটি। সংশোধনাগারে মাওবাদী সন্দেহে ধৃতরা রয়েছেন। বেশ কিছু কুখ্যাত দুষ্কৃতীও রয়েছে জেলে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে যে কোনও সময় অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে মনে করছে কারারক্ষীদের একাংশ। অভিযোগ, জেনারেটর মেরামতে কোনও ব্যবস্থাই নেননি কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সংশোধনাগারের সুপার প্রহ্লাদ সিংহ কুমারের বক্তব্য, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জেনারেটর মেরামত করার চেষ্টা চলছে।” কিন্তু দু’সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জেনারেটর সারানো হয়নি কেন, তার সদুত্তর মেলেনি। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রায় এক হাজারেরও বেশি বন্দি রয়েছেন। বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন সুদীপ চোঙদার, কল্পনা মাইতির মতো মাওবাদী নেতা-নেত্রীরা। এই প্রেক্ষিতে বছর খানেক আগে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর তোড়জোড় শুরু হয়। আশপাশে যে কর্মী আবাসন রয়েছে, তা-ও ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও এই সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকর করা যায়নি। এক সময় গোয়েন্দারা জেল চত্বরে নাশকতা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রশাসনকে। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কিছু পদক্ষেপ করা হয়। জেল চত্বর ও আশপাশে থাকা কারারক্ষী সংগঠনগুলির ঘর খালি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে যখন প্রশাসন এতই উদ্বিগ্ন, তখন জেনারেটর অচল হয়ে পড়ে থাকলেও তা মেরামত করা হচ্ছে না কেন? অন্ধকারে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার কে নেবে তা নিয়ে খোদ কারারক্ষীদের একাংশই প্রশ্ন তুলেছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সিপিএম প্রভাবিত ‘কারারক্ষী সমিতি, পশ্চিমবঙ্গ’র নেতা অতুল সাহা বলেন, “যে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে এত তোড়জোড়, এত সতর্কতা, সেখানে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেনারেটর অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ, কর্তৃপক্ষের হুঁশ নেই।” |
|
|
|
|
|