কুড়ানকুলামে পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হওয়া স্থানীয় বিক্ষোভে ‘বিদেশি’ শক্তির ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করল কেন্দ্র। একই সঙ্গে, এই ‘ষড়যন্ত্রের’ মূল খুঁজতে তামিলনাডুর ৬টি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে গোয়েন্দা তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে তাদের কাজের খতিয়ান এবং বিদেশ থেকে আসা অর্থ খরচের হিসেব দিতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার দাবি, বেশ কিছু দিন লক্ষ করে দেখা যায়, কুড়ানকুলামের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় যে বিক্ষোভ চলছে, তার খরচ আসছে দেশের বাইরে থেকেও। এ দিকে, প্রধানমন্ত্রীর মস্কো সফরের পরে কুড়ানকুলাম সংক্রান্ত জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। আর হরিপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির সম্ভাবনা বিশবাঁও জলে চলে যাওয়ায় দেশের দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১৪ হাজার কোটি টাকার কুড়ানকুলাম প্রকল্পই কেন্দ্রের অন্যতম ভরসা। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় স্তরে বিক্ষোভ মেটাতে কোমর বেঁধে নামছে কেন্দ্র।
কুড়ানকুলাম নিয়ে বিক্ষোভে বিদেশি শক্তির মদতের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি এই ঘটনার পিছনে নিজেদের ‘দায়’ও কিছুটা স্বীকার করেছে কেন্দ্র। তাদের মতে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবের জন্যই এই সমস্যা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় মানুষ ও কিছু স্তরে অযথা আশঙ্কা রয়েছে। জাপানের ফুকুশিমায় পরমাণু বিপর্যয়ের পর সেই ভীতি কিছুটা বেড়েওছে। আসলে আমাদের দিক থেকে বিষয়টি স্থানীয়দের বোঝানোর ক্ষেত্রে হয়তো কিছুটা গাফিলতি রয়ে গিয়েছে। তারই সুযোগ নিচ্ছে আন্দোলনকারীদের একাংশ।” ওই কর্তা জানান, কুড়ানকুলামের পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের ভীতি কাটাতে প্রচারে নামবে কেন্দ্র। |