টুকরো খবর
ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় রাজভাষার স্বীকৃতি বাংলা, সাঁওতালির
অবশেষে ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় রাজভাষার স্বীকৃতি পেল বাংলাভাষা। একই সঙ্গে আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে দ্বিতীয় রাজভাষার সরকারি মর্যাদা মিলেছে সাঁওতালি ভাষারও। সরকারি সূত্রের খবর, বাংলাভাষাকে দ্বিতীয় রাজভাষার স্বীকৃতিদানের প্রস্তাবটি মাস তিনেক আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপালের সম্মতির জন্য বিষয়টি এত দিন ঝুলে ছিল। বাংলাভাষাকে দ্বিতীয় রাজভাষার মর্যাদাদানের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে সম্প্রতি রাজ্যপালের সম্মতি মিলেছে। দ্বিতীয় রাজভাষার সরকারি সিলমোহর পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই উল্লসিত ঝাড়খণ্ডের বাংলাভাষী জনতা। বাংলাভাষাকে দ্বিতীয় রাজভাষার সরকারি মর্যাদাদানের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছিল রাজ্যের বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি উন্নয়ন বিষয়ক একাধিক সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে শাল দিয়ে সংবর্ধনা। রবিবার। ছবি: চন্দন পাল
দ্বিতীয় রাজভাষার সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্র মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ঝাড়খণ্ড বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি পরিষদের কর্মকর্তারা। বাংলাভাষাকে দ্বিতীয় রাজভাষার মর্যদা দেওয়ার প্রেক্ষিতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুষ্পস্তবক ও তুলে দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় ওই সংগঠনের তরফে। সরকারি সিদ্ধান্তে এ দিন সন্তোষ প্রকাশ করেছে ঝাড়খণ্ড বাংলাভাষা উন্নয়ন সমিতিও। রাজ্যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। তাতে বাংলা অ্যাকাডেমি গঠন, সরকারি স্কুলে বাংলাভাষার শিক্ষাকর্মী নিয়োগ, রবীন্দ্রভবন নির্মাণ-সহ আরও কিছু কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তাব রয়েছে। একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জন্মদিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিও পেশ করা করা হয়েছে। প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মুন্ডা।

স্কুলের উৎসবে অন্যের প্রক্সি, ফাঁপরে বিধায়ক
একেই বলে প্রক্সি! মেঘালয়ে, একটি স্কুলের খাদ্য উৎসবে, উমরই কেন্দ্রের বিধায়ক স্ট্যানলি উইস রিম্বাইয়ের নিমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু, তুচ্ছ অনুষ্ঠানে যেতে মোটেই ইচ্ছা ছিল না তাঁর। তাই নিজের মতো দেখতে অন্য এক ব্যক্তিকে প্রক্সি দিতে পাঠিয়ে দিলেন সেই অনুষ্ঠানে। বিধায়কের লালবাতি লাগানো গাড়ি, দেহরক্ষী সব নিয়ে রওনা হলেন পেশায় শিক্ষক সি খারকোংগোর। ১২ ডিসেম্বরের ঘটনা। এতদিনে স্কুল কর্তৃপক্ষ সত্য জানতে পেরে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন। ফলে সমালোচনার মুখে বিধায়ক। উমরয় বিধানসভা কেন্দ্রের উমিয়াম এলাকায় রলিন মডার্ন মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। ছাত্রীছাত্রীদের নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খাদ্য উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিধায়ক রিম্বাই। নির্দিষ্ট সময়ে লালবাতির গাড়ি, দেহরক্ষী-সহ নকল রিম্বাই হাজির হন, এমন কী বক্তৃতাও দেন। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের হাততালি কুড়িয়ে ভালয় ভালয় ফিরেও এসেছিলেন খারকোংগোর। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। কয়েকজন শিক্ষক ও অনুষ্ঠানে হাজির অতিথির সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, গত রবিবারের অনুষ্ঠানে বিধায়ক নিজে আসেননি। তিনি তখন অন্যত্র ব্যস্ত ছিলেন। গত কাল এই নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ মলিনা লিংডো বলেন, “নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বিধায়কের কোনও দায়িত্ববোধই নেই। কী ভাবে, তিনি এমন প্রতারণা করতে পারেন?” বিষয়টি জানিয়ে বিধানসভার সচিব ও মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। অবশ্য স্কুলের তরফে, প্রক্সি দিতে আসা খারকোংগোরকে সময়মতো আসার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

আজ পরিবহণ ধর্মঘট ঝাড়খণ্ডে
পরিবহণ শুল্ক বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামিকাল ঝাড়খণ্ডে এক দিনের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্যের বেসরকারি পরিবহণের মালিক সংগঠনগুলি। ধর্মঘটে শামিল হয়েছে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের অধিকাংশ বেসরকারি সংগঠন। ধর্মঘটের আওতা থেকে ছাড় পায়নি স্কুলবাসও। সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না-থাকায় রাজধানী শহর রাঁচির সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত বেসরকারি পরিবহণের উপরই নির্ভর। এই পরিস্থিতিতে ধর্মঘটের ডাকে গোটা রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সরকারি এবং বেসরকারি সব মহলই। রাজের ট্রাকমালিক সংগঠনের প্রধান কর্মকর্তা উদয়শঙ্কর ওঝার অভিযোগ, সম্প্রতি রাজ্য সরকার অস্বাভাবিক হারে পরিবহণ শুল্ক বাড়িয়েছে। বৃদ্ধির হার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একশো এমনকী দেড়শো গুণেরও বেশি। উচ্চহারে পরিবহণ শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে ঝাড়খণ্ড। অথচ মাওবাদী হামলার আশঙ্কায় ঝাড়খণ্ডে রাতে সড়ক পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অন্য রাজ্যে যেখানে ২৪ ঘণ্টা সড়ক পরিবহণ চালু থাকে, সেখানে ঝাড়খণ্ডে সড়ক পরিবহণ চালু থাকছে ১২ ঘণ্টা।

মায়ার হাতিয়ার সংখ্যালঘু তাস, অমেঠি যাবেন প্রণব
উত্তরপ্রদেশে ফায়দা তুলতে মায়াবতী যখন সংখ্যালঘু তাসকে হাতিয়ার করছেন, তখন ‘সার্বিক বৃদ্ধি’র বার্তা পৌঁছে দিতে অমেঠি যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, গ্রামের মানুষের সার্বিক বৃদ্ধির জন্য এ বছরই ‘স্বাভিমান’ প্রকল্প শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। যে প্রকল্পের আওতায় গ্রামের কৃষক, প্রান্তিক চাষী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আরও বেশি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাহুল গাঁধীর নির্বাচন কেন্দ্র অমেঠিতে ‘স্বাভিমান’-এর একটি কর্মশালা করার প্রস্তাব বহুদিন ধরে রয়েছে। সম্ভবত ২৪ ডিসেম্বর সে জন্য অমেঠি যাবেন প্রণববাবু। স্থানীয় সাংসদ হিসাবে রাহুল গাঁধীকেও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। চুপ করে বসে নেই মায়াবতীও। তফসিলি জাতি-উপজাতি বাদ দিয়ে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। মুসলিমদের সেই আওতায় আনার জন্য তা বাড়ানো উচিত বলে আজই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। লখনউয়ে আজ একটি জনসভায় তিনি বলেন, “বসপা সরকার মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণকে সমর্থন করে। কেন্দ্র যদি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণকে মুসলিমদের কথা ভেবে বাড়ায়, আমাদের দল তা সমর্থন করবে।” কিন্তু বহেনজির অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কংগ্রেস ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে। তাদের উন্নতির জন্য কিছু করেনি। সামনে বিধানসভা নির্বাচন, সামনে মায়াবতীর জন্মদিনও। বসপাকে ফের ক্ষমতায় আনাটাই হবে জন্মদিনের সেরা উপহার, বলেছেন মায়া।

স্কুলের উৎসবে অন্যের প্রক্সি, ফাঁপরে বিধায়ক
একেই বলে প্রক্সি! মেঘালয়ে, একটি স্কুলের খাদ্য উৎসবে, উমরই কেন্দ্রের বিধায়ক স্ট্যানলি উইস রিম্বাইয়ের নিমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু, তুচ্ছ অনুষ্ঠানে যেতে মোটেই ইচ্ছা ছিল না তাঁর। তাই নিজের মতো দেখতে অন্য এক ব্যক্তিকে প্রক্সি দিতে পাঠিয়ে দিলেন সেই অনুষ্ঠানে। বিধায়কের লালবাতি লাগানো গাড়ি, দেহরক্ষী সব নিয়ে রওনা হলেন পেশায় শিক্ষক সি খারকোংগোর। ১২ ডিসেম্বরের ঘটনা। এতদিনে স্কুল কর্তৃপক্ষ সত্য জানতে পেরে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন। ফলে সমালোচনার মুখে বিধায়ক। উমরয় বিধানসভা কেন্দ্রের উমিয়াম এলাকায় রলিন মডার্ন মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। ছাত্রীছাত্রীদের নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খাদ্য উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিধায়ক রিম্বাই। নির্দিষ্ট সময়ে লালবাতির গাড়ি, দেহরক্ষী-সহ নকল রিম্বাই হাজির হন, এমন কী বক্তৃতাও দেন। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের হাততালি কুড়িয়ে ভালয় ভালয় ফিরেও এসেছিলেন খারকোংগোর। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। কয়েকজন শিক্ষক ও অনুষ্ঠানে হাজির অতিথির সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, গত রবিবারের অনুষ্ঠানে বিধায়ক নিজে আসেননি। তিনি তখন অন্যত্র ব্যস্ত ছিলেন। গত কাল এই নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ মলিনা লিংডো বলেন, “নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বিধায়কের কোনও দায়িত্ববোধই নেই। কী ভাবে, তিনি এমন প্রতারণা করতে পারেন?” বিষয়টি জানিয়ে বিধানসভার সচিব ও মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। অবশ্য স্কুলের তরফে, প্রক্সি দিতে আসা খারকোংগোরকে সময়মতো আসার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

আজ পরিবহণ ধর্মঘট ঝাড়খণ্ডে
পরিবহণ শুল্ক বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামিকাল ঝাড়খণ্ডে এক দিনের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্যের বেসরকারি পরিবহণের মালিক সংগঠনগুলি। ধর্মঘটে শামিল হয়েছে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের অধিকাংশ বেসরকারি সংগঠন। ধর্মঘটের আওতা থেকে ছাড় পায়নি স্কুলবাসও। সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না-থাকায় রাজধানী শহর রাঁচির সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত বেসরকারি পরিবহণের উপরই নির্ভর। এই পরিস্থিতিতে ধর্মঘটের ডাকে গোটা রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সরকারি এবং বেসরকারি সব মহলই। রাজের ট্রাকমালিক সংগঠনের প্রধান কর্মকর্তা উদয়শঙ্কর ওঝার অভিযোগ, সম্প্রতি রাজ্য সরকার অস্বাভাবিক হারে পরিবহণ শুল্ক বাড়িয়েছে। বৃদ্ধির হার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একশো এমনকী দেড়শো গুণেরও বেশি। উচ্চহারে পরিবহণ শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে ঝাড়খণ্ড। অথচ মাওবাদী হামলার আশঙ্কায় ঝাড়খণ্ডে রাতে সড়ক পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অন্য রাজ্যে যেখানে ২৪ ঘণ্টা সড়ক পরিবহণ চালু থাকে, সেখানে ঝাড়খণ্ডে সড়ক পরিবহণ চালু থাকছে ১২ ঘণ্টা।

আগরায় বোমা উদ্ধার
তাজ মহলের শহর থেকে উদ্ধার হল টাইম বোমা। এই ঘটনার পর আগরা ছাড়াও দিল্লি এবং নিকটবর্তী এলাকায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ দুই যুবক খেতে আসে তেরি বাগ এলাকার একটি ধাবায়। তারা চলে যাওয়ার পর টেবিলটির তলায় একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ দেখতে পান ধাবার এক কর্মী। সেই ব্যাগটি থেকেই উদ্ধার করা হয় টাইম বোমাটি। একটি বালি ভর্তি ট্র্যাক্টর ট্রলিতে চাপিয়ে নিকটবর্তী কালিন্দী বিহার অরণ্যে নিয়ে গিয়ে টাইম বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে আগরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একই ধরনের শক্তিশালী বোমা বিস্ফেরণ ঘটেছিল।

বিহারে ট্রাক উল্টে মৃত্যু চার জনের
সাত সকালে সিমেন্ট ভর্তি একটি ট্রাক উল্টে বিহারের বাঁকায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২২ জন। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে বাঁকা থেকে একটি সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক রেলের ওয়াগনে ভর্তির জন্য যাচ্ছিল। কোরিয়ান্ডা গ্রামের কাছে রাস্তার বাঁক নিতে গিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনিল দাস (২৫) ও শিবশঙ্কর রায় (৩৫) নামে দু’জনের। পরে হাসাপাতালে মারা যায়, গুলাবি পণ্ডিত (৩৫) এবং তালাময়ি মুর্মু (৩৫)। এঁরা সকলেই ওই ট্রাকের উপরে বসে ছিল। জেলা পুলিশ সুপার বিকাশ বর্মণ বলেন, “ট্রাকটিতে বহন ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি মাল তোলা হয়েছিল।”

বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন মণিপুরে, ধৃত ৩
বছর দশেকের এক বালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ঘিরে তপ্ত মণিপুরের পরমপত এলাকা। স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ, কাল সন্ধ্যায় দুই ব্যক্তি একটি বাড়িতে মেয়েটিকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তারপর ছাদ থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ আবিবি নামে ওই বালিকার দেহ নীচে পড়তে দেখেন কেউ কেউ। গিয়ে দেখা যায়, সে মারা গিয়েছে। দেহটি অর্ধনগ্ন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই যুবক ও এক বিবাহিত তরুণীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, পরমপত এলাকার হাট্টায় একটি বাড়ির ছাদ থেকে একটি মেয়ের দেহ নীচে পড়তে দেখা যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। আবিবি নামে ওই বালিকার বাড়ি হাট্টা তেলাপাটি এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, মহম্মদ রফি ও মহম্মদ ইসলামউদ্দিন নামে দুই যুবক মেয়েটিকে নিয়ে জোর করে একটি বাড়িতে টেনে নিয়ে যায়। অভিযোগ, তারাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। ওই বাড়ির মালিক রজক নামে এক ব্যক্তি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুরু হয় ভাঙচুর ও অবরোধ। পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পরে, ওই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা রফি ও ইসলামউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রফির স্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে। ওই বাড়ির ছাদ থেকে রক্তমাখা একটি প্যান্টও উদ্ধার করা হয়। প্যান্ট ও মেয়েটির মৃতদেহ ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।

অবৈধ সম্পর্কের জেরেই খুন হলেন চিকিৎসক
পুলিশি তদন্তে জানা গেল, প্রেম ঘটিত বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন সরকারি চিকিৎসক আমির হুসেন। আজ হত্যাকারী আজিজুল ইসলামকে ধুবুরি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আজিজুল জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী নাজমা খন্দকরের সঙ্গে হুসেনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই রাগেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ধরা পড়েছে গাড়ি চালকও। তবে, আজিজুলের অন্য দুই সঙ্গী পলাতক। নাজমাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। গত কাল, গুয়াহাটি বনাঞ্চলের অন্তর্গত দিপর বিল অভয়ারণ্যের দেওসুতালের কাছে আমির হুসেনের ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়। হুলেনের বাড়ির লোকেরা জানান, শুক্রবার রাতে চেম্বার থেকেই তিন ব্যক্তি হুসেনকে ডেকে নিয়ে যায়। দক্ষিণ কামরূপের কুকুরমারায় গজেনচন্দ্র বোরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন বছর তিরিশের ওই চিকিৎসক। পুলিশ জানায়, তদন্ত চালিয়ে হুসেনকে যে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার চালক রাহুল রায়কে গ্রেফতার করে হাতিগাঁও পুলিশ। মূল অভিযুক্ত আজিজুল ইসলামকে ধুবুরি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, আজিজুল ও তাঁর স্ত্রী নাজমা খন্দকর গুয়াহাটিতে রক্তপরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ করতেন। তিন বছর হল তাঁদের বিয়ে হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের সূত্রেই, অবিবাহিত চিকিৎসক হুসেনের সঙ্গে নাজমার আলাপ। ক্রমে তা অবৈধ প্রণয়ের রূপ নেয়। সম্প্রতি, নাজমার কাছে, হুসেনের লেখা একটি চিঠি আজিজুল দেখতে পান। সেখানে, দুজনের শারীরিক সম্পর্কের উল্লেখ ছিল। এরপরেই, হুসেনকে মেরে ফেলার ছক কষেন আজিজুল।

বিহারে ট্রাক উল্টে মৃত্যু চার জনের
সাত সকালে সিমেন্ট ভর্তি একটি ট্রাক উল্টে বিহারের বাঁকায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২২ জন। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে বাঁকা থেকে একটি সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক রেলের ওয়াগনে ভর্তির জন্য যাচ্ছিল। কোরিয়ান্ডা গ্রামের কাছে রাস্তার বাঁক নিতে গিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনিল দাস (২৫) ও শিবশঙ্কর রায় (৩৫) নামে দু’জনের। পরে হাসাপাতালে মারা যায়, গুলাবি পণ্ডিত (৩৫) এবং তালাময়ি মুর্মু (৩৫)। এঁরা সকলেই ওই ট্রাকের উপরে বসে ছিল। জেলা পুলিশ সুপার বিকাশ বর্মণ বলেন, “ট্রাকটিতে বহন ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি মাল তোলা হয়েছিল।”

সংখ্যালঘুই অস্ত্র মায়ার, অমেঠি যাবেন প্রণব
উত্তরপ্রদেশে ফায়দা তুলতে মায়াবতী যখন সংখ্যালঘু তাসকে হাতিয়ার করছেন, তখন ‘সার্বিক বৃদ্ধি’র বার্তা পৌঁছে দিতে অমেঠি যাচ্ছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, গ্রামের মানুষের সার্বিক বৃদ্ধির জন্য এ বছরই ‘স্বাভিমান’ প্রকল্প শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। যে প্রকল্পের আওতায় গ্রামের কৃষক, প্রান্তিক চাষী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আরও বেশি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাহুল গাঁধীর নির্বাচন কেন্দ্র অমেঠিতে ‘স্বাভিমান’-এর একটি কর্মশালা করার প্রস্তাব বহুদিন ধরে রয়েছে। সম্ভবত ২৪ ডিসেম্বর সে জন্য অমেঠি যাবেন প্রণববাবু। রাহুল গাঁধীকেও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। চুপ করে বসে নেই মায়াবতীও। তফসিলি জাতি-উপজাতি বাদ দিয়ে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। মুসলিমদের সেই আওতায় আনার জন্য তা বাড়ানো উচিত বলে আজই জানিয়েছেন মায়া।

আবার স্কুলবাড়ি ভাঙল মাওবাদীরা
বিহারে গ্রামাঞ্চলে একের পর এক স্কুলবাড়ি মাওবাদী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠছে। গয়ার চোরদহা, জামুইয়ের শরকাণ্ডার পর এ বার জামুই জেলাতেই চানাম্বর গ্রামে আক্রান্ত হল দোতালা একটি স্কুল ভবন। মাওবাদীদের হাতে স্কুলবাড়িটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার পাঠ নেওয়ার ওই একটিই শিক্ষাকেন্দ্র ছিল ওই এলাকায়। পুলিশ জানায়, কাল শেষ রাতের দিকে চানাম্বর গ্রামে হানা দেয় জনা ষাটেক অস্ত্রধারী মাওবাদী। গ্রামের কাছেই সড়ক নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে বেসরকারি একটি সংস্থা। মাওবাদীরা সেখান থেকে দু’টি জেসিবি মেশিন এনেছিল স্কুলবাড়িটি ভাঙতে। গ্রামবাসীরা প্রথমে বাধা দিতে এলেও জঙ্গিদের অস্ত্র দেখে পিছিয়ে যান। মাওবাদী দমন অভিযানে নিযুক্ত পুলিশ বা আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা আশ্রয় নেন স্কুলবাড়িগুলিতে। এটাই মাওবাদীদের রোষের কারণ। স্কুলবাড়ি ধ্বংস করাটাই তারা ‘প্রতিবাদ’ জানানোর সহজ পন্থা করে নিয়েছে।

বেআইনি অস্ত্র কারখানার সন্ধান
মাওবাদীদের একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। কাল রাতে মুজফফ্পুরের মিঠানপুর থানার কালহোলি এলাকায়। গ্রেফতার দুই। ধৃতদের নাম শ্রীকান্ত সিংহ এবং নীতীন কুমার। জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, “এই কারখানা থেকে ৯০০ গুলি, পিস্তল তৈরির সরঞ্জাম, ৩টি লেদ মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।”

মুম্বইয়েই আছি, জানালেন বীণা
খোঁজ মিলল বীণা মালিকের। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না বলে গত কাল জানিয়েছিলেন বীণার ম্যানেজার প্রতীক মেটা। আজ এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বীণা জানিয়েছেন, তিনি মুম্বইয়েই আছেন। কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ায় দিন কয়েকের ছুটি কাটাতে একটি হোটেলে গিয়েছেন তিনি। গত কাল তাঁর খোঁজ না মেলার পর গুজব রটে যায়, তিনি চুপিসাড়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছেন।

সংঘর্ষে হত ২ জঙ্গি
কম্যান্ডোবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গেল দুই জিএনএলএ জঙ্গি। পুলিশ জানায়, মেঘালয়ের পূর্ব গারো হিল জেলার দারিমগ্রে গ্রামে জিএনএলএ জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে খবর পেয়ে আজ সকালে, সোয়াট কম্যান্ডোরা সেখানে হানা দেন। দুই পক্ষে আধঘণ্টা গুলির লড়াইয়ের পরে দুই জঙ্গি মারা পড়ে। যে ব্যক্তির বাড়িতে জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছিল, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দু’টি গ্রেনেড মেলে। অন্য দিকে, তোলা তুলতে এসে, পশ্চিম খাসি হিলের সালাং-এ গ্রেফতার হয় আরও এক জিএনএলএ জঙ্গি।

জঙ্গি ডেরা নেই, জানাল বিজিবি
বিএসএফের চিহ্নিত করা এলাকায় জঙ্গি ডেরার খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়ে দিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। সম্প্রতি, শিলংয়ে এক বৈঠকে বিএসএফ ৪৬টি এলাকার নামের একটি তালিকা তুলে দিয়েছিল বিজিবির হাতে। কিন্তু বিজিবি-র তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকাগুলিতে জঙ্গিদের কোনও খোঁজ মেলেনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.