নির্বাচন কমিশনের তরফে যা ইঙ্গিত, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন হয়ে যেতে পারে ফেব্রুয়ারি-মার্চেই। তার আগে কেন্দ্রে ইউপিএ জোটে সামিল হয়ে আজ মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন রাষ্ট্রীয় লোকদল নেতা অজিত সিংহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিনি বিমান মন্ত্রকের দায়িত্ব পাচ্ছেন।
আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চরণ সিংহের পুত্র অজিতের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সনিয়া-মনমোহন তো ছিলেনই, ছিলেন উত্তরপ্রদেশ ভোটে কংগ্রেস-আরএলডি জোটের প্রধান কারিগর রাহুল গাঁধীও। সাম্প্রতিক কালে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি রাহুলকে। কিন্তু আজ অজিত-পুত্র জয়ন্তের সঙ্গেই থাকলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আবদুল্লা এবং ই আহমদও। তবে শরিক তৃণমূল বা বিরোধীদের কাউকে আজ দেখা যায়নি। |
শপথ অনুষ্ঠানে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে অজিত সিংহ। রবিবার। ছবি: পি টি আই |
উত্তরপ্রদেশে মায়া-মুলায়মের সঙ্গে যে কংগ্রেস এ বার জোট গড়বে না, তা অনেক আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন রাহুল। পরে তাঁর মনে হয়, ছোট আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিলে ফল ভাল হতে পারে। সেই থেকেই রাষ্ট্রীয় লোকদল তথা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ নেতা অজিতের সঙ্গে জোট ভাবনার সূত্রপাত। অতএব আরএলডি-র সঙ্গে জোটে ভাল-মন্দের দায় স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর। আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুন জোট সম্পর্ক নিয়ে রাহুল অবশ্য মন্তব্য করেননি। কিন্তু অজিত সিংহ বলেন, “কংগ্রেস-আরএলডি জোট লখনউয়ের তখত থেকে মায়াবতীকে উৎখাত করতে সফল হবেই।” আরএলডি-কে ৪৫টি আসন ছাড়বেন রাহুল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ২২টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। পরে উপনির্বাচনে আরও দু’টি আসন কমে যায়। কিন্তু স্টার নিউজ-এসি নিয়েলসনের জনমত সমীক্ষা বলছে, কংগ্রেস একা লড়লে অন্তত ৬৮টি আসন পাবে। আর অজিত সিংহের সঙ্গে জোট গড়লে আসন ৮৫ হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসের এমন ফল হলে কৃতিত্ব পাবেন রাহুলই। সমীক্ষাও বলছে, উত্তরপ্রদেশ ভোটে এ বার ‘রাহুল ফ্যাক্টর’ বড় ভূমিকা নেবে। জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে কৃষক সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তরপ্রদেশে আন্দোলন করেছেন রাহুল। কংগ্রেসের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, রাহুলের অন্যতম লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশে কৃষক সমাজে কংগ্রেসের জনভিত্তি বাড়ানো। অজিত সিংহও কৃষক নেতা। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে অন্য অনগ্রসর শ্রেণির কেন্দ্রীয় তালিকায় এ বার জাঠদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে মনমোহন সরকার। |