মাতৃহারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার সন্ধ্যায় ফোন করে সমবেদনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। মস্কো থেকে ২৪ ঘণ্টা আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লাগোয়া দফতরে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে ফিরে এ দিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ফের ফোন করেন
মমতাকে। প্রধানমন্ত্রীকে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানান মুখ্যমন্ত্রী। |
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বিজেপি নেতা রাজনাথ সিংহ। |
সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর ফোন যখন আসে, তখন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, এআইসিসি-র সম্পাদক ও সাংসদ রামচন্দ্র কুন্তিয়া, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ও প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মায়া ঘোষ। কংগ্রেস নেতারা আসার আগেই কালীঘাটে এসে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে সমবেদনা জানিয়ে যান বিজেপি-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ ও সাংসদ কীর্তি আজাদ।
সারা দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রাজনীতি থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র, শিল্প-সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরে একে একে আসেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা মহম্মদ সোহরাব, বিধানসভায় কংগ্রেসের সচেতক অসিত মাল, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিধায়ক-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। |
দেখা করে যান সস্ত্রীক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। |
সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, নৃত্যশিল্পী তনুশ্রীশঙ্কর, চলচ্চিত্র শিল্পী প্রসেনজিৎ, তাঁর স্ত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, জর্জ বেকার প্রমুখ মমতার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর মায়ের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ প্রয়াত কাজুও আজুমার স্ত্রীও এ দিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন।
শনিবারের মতো এ দিনও মুখ্যমন্ত্রী বসেছিলেন মায়ের ঘরেই। মা গায়ত্রী দেবীর মৃত্যুতে যাঁরা সমবেদনা জানিয়েছেন, তাঁদের সকলকে ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি দিয়ে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানাতে এ দিন ব্যস্ত ছিলেন মমতা। বাড়িতে আগত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্ত চিঠিপত্রে সই করছিলেন। তাঁর কথায়, “বুধবার থেকে পুরো দমে কাজ শুরু করে দেব। তার আগে বেরোব না।”
|