নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শনিবারেও উত্তেজনা ছড়াল ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে। এ দিন সন্ধ্যায় একটি বড় গাড়ি নিয়ে হাসপাতাল থেকে বর্জ্য পদার্থ নিতে আসে একটি সংস্থা। যা দেখে গুজব ছড়ায়, হাসপাতালে আরও দেহ রয়েছে। যা পাচার করার চেষ্টা চলছে। গাড়িতে কী রয়েছে দেখার জন্য হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতাল লক্ষ করে ইট, পাথরও ছোড়া হয়।
ইটের আঘাতে এক পুলিশের মাথা ফাটে।
পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে সরিয়ে দেয়।
এলাকার লোকের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিতে দু’জন জখম হয়েছেন। পুলিশ অবশ্য তা অস্বীকার করেছে।
এ দিন রাতে আবার হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। শনিবার সকালে বেসমেন্টে জমে থাকা জল সরানোর কাজ শুরু করেছিল দমকল। কিন্তু দুপুরে সেখান থেকে ফের তাপ বেরোতে শুরু করে। ফলে নতুন করে
জল ঢালা হয়। তার পরেও কেন ধোঁয়া বেরোলো, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বদ্ধ জায়গায় আগুন লাগায় তাপমাত্রা কমতে সময় লাগছে।
বেসমেন্টের দ্বিতীয় তলায় রেডিয়েশন যন্ত্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার দুপুরে সেখানে রেডিয়েশন মনিটরিং যন্ত্র রেখে এসেছিলেন ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের কর্মীরা। এ দিন হাসপাতালে গিয়ে ওই যন্ত্রটি পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। তবে বিকিরণ নিয়ে প্রশ্নের কোনও জবাব তাঁরা দেননি। যদিও আমরি হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস উপাধ্যায় সংবাদ সংস্থার কাছে দাবি করেছেন, ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার এবং অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি বোর্ডের প্রতিনিধিরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে, হাসপাতালে তেজস্ক্রিয়তার
কোনও ভয় নেই। |