তৃণমূলের সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতের ঘটনায় এক মহিলা-সহ পাঁচ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি তারকেশ্বরের কেশবচক পঞ্চায়েতের নছিপুর গ্রামের। হামলার অভিযোগে এক সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, কলকাতার একটি সভার প্রচারে তৃণমূল সমর্থকরা নছিপুরে দামোদরের বাঁধের উপরে সভা করছিলেন। সেই সভায় লাঠিসোঁটা নিয়ে সিপিএমের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
তারকেশ্বরের পুরপ্রধান, তৃণমূল নেতা স্বপন সামন্ত বলেন, “কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আমাদের সমর্থকদের মারধর করা হয়। সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল ভূমিচের নেতৃত্বে ওই হামলা চলে।” জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, পুলিশ সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে শনিবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে। জেলা সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য ঘটনায় দায় অস্বীকার করেছে।
|
ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটল আরামবাগে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জখম মৃত্যুঞ্জয় নন্দীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ১০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। পুলিশ জানায়, হাসপাতাল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালের তোয়াক্কা না করে দুধের ড্রাম নিয়ে সাইকেলে চেপে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগার উপক্রম হয় সাইকেলের। আচমকা ব্রেক কষেন লরির চালক। পিছনে থাকা গাড়িগুলি বেসামাল হয়ে একে অন্যের গায়ে ধাক্কা মারে। মৃত্যুঞ্জয়বাবু ওই সাইকেল আরোহীকে রাস্তার মাঝখান থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। শুরু হয় তর্কাতর্কি। ওই ট্রাফিক কর্মীর কথায়, “ওই দুধ বিক্রেতা লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে পালিয়ে যান।”
|
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ডের কাছে জিটি রোডে। পুলিশ জানায়, অর্চনা দেবী (৪১) নামে ওই মহিলার বাড়ি চাঁপদানিতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আত্মীয়দের সঙ্গে তিনি নৈহাটিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। ফেরার পথে তাঁদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি দেওয়ালে ধাক্কা মারে। |