|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৪ - ১০ ডিসেম্বর |
|
মস্কো দামাস্কাস কায়রো কাবুল ইসলামাবাদ |
• আরব ভূমির পর রাশিয়াতেও এ বার ‘বসন্তে’র ছোঁওয়া? গত সপ্তাহের নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি বড় রকমের ধাক্কা খাওয়ার পর থেকেই সেখানে মানুষের বিক্ষোভ যেন ভাষা পেয়ে উঠেছে। পুতিনের দল অবশ্য ধাক্কা সত্ত্বেও জিতেছে। আর তাতেই জনতার ক্ষোভ। বক্তব্য: রিগিং করেই পুতিন জিতলেন। মস্কো উত্তাল, শনিবারের ক্রেমলিনে যা দেখা গেল, তত বড় প্রতিবাদ সমাবেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর গত কুড়ি বছরে ঘটেনি। অশান্ত অন্যান্য শহরও, এমনকী বহু দূরের ব্লাডিভস্টকও। |
• মিশরে নির্বাচনের ফলাফল বলছে, মুসলিম ব্রাদারহুড-এর রাজনৈতিক মুখপাত্র দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি জয়ী। তার চেয়েও বড় খবর, অপ্রত্যাশিত ভাবে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিয়েছে মৌলবাদী সালাফি গোষ্ঠী।
• কাবুলে আবার বিস্ফোরণ। মহরমের দিন একটি মসজিদে পর পর দুটি বিস্ফোরণে ষাট জনের মৃত্যু, অগণিত আহত। শিয়া মুসলিমদের পবিত্র দিনটিতে এই আক্রমণের মধ্যে শিয়া-সু্ন্নি আন্তঃ-গোষ্ঠী সংঘর্ষের চিহ্ন, যে ধরনের হিংসা আফগানিস্তানে খুব পরিচিত নয়।
• পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি অসুস্থ। আকস্মিক স্ট্রোকের ফলে তাঁর শরীরের কিছু অংশে প্যারালিসিস হয়ে যায়। আপাতত তাঁকে দুবাইতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্যে।
|
• পশ্চিম এশিয়ায় বিদ্রোহের শেষ ছিল না এ বছর। তার মধ্যেও সিরিয়া বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর অন্তত ৪০০০ নাগরিক নিহত সেখানে। অবাধে গুলিগোলা চলছে। পশ্চিমি দেশগুলি ও রাষ্ট্রপুঞ্জ ভয়ানক উদ্বিগ্ন। প্রেসিডেন্ট আসাদ আল-বাশার অবশ্য জানালেন, তিনি একটুও অপরাধবোধে ভুগছেন না। যা হয়েছে, ঠিক হয়েছে, এই তাঁর মত। ধন্য প্রেসিডেন্ট! |
|
পানামা সিটি |
পানামার ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নরিয়েগাকে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। একনাগাড়ে কুড়ি বছর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের বিভিন্ন জেলে অন্তরিন ছিলেন। আশির দশকের অন্যতম স্বৈরতন্ত্রী, এক কালের ঘোর মার্কিন-মিত্র এই শাসক প্রবল দুর্নীতিগ্রস্ত বলে খ্যাত। আমেরিকার সীমান্তবর্তী দেশ পানামাকে মাদক-দ্রব্য চোরাচালানের পীঠস্থানে পরিণত করেন তিনিই। ১৯৯০ সালে মার্কিন বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার পর প্রথমে মার্কিন জেলে প্রবেশ করেন, তার পর স্থানান্তরিত হন ফ্রান্সে। এত দিন পর দেশে ফিরে এসে তিনি অবশ্য সেই জেলেই ঢুকবেন আবার, এ বার নিজের দেশের জেলে। |
জেরুজালেম |
ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোশে কাতসভ সাত বছরের জন্য জেলে গেলেন। তাঁর অধীন এক কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে। ঘটনাটি ১৯৯০-এর দশকের। এ ছাড়াও আর দুই কর্মীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন। শর্ত দিয়েছিলেন, পদ ছাড়লে তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা চালানো যাবে না। পরে, নিজেই এই শর্ত ভেঙে জানান, আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান। মামলা আরম্ভ হয়। নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল, কাতসভ সত্যিই দোষী। এই রায়ের ফলেই জেলযাত্রা। কাতসভ অবশ্য বলেছেন, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বই আর কিছু নয়। |
ব্রাসেলস্ |
দেনার দায়ে বিপর্যস্ত ইউরোপের হাল ফেরাতে নিকোলাস সারকোজি (ছবি) আর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল মাসদুয়েক আগে একটা নতুন চুক্তির কথা ভেবেছিলেন। ছয়টি নিয়মের গুচ্ছ, ভালবেসে যার নাম রাখা হয়েছিল ‘সিক্স প্যাক’। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ তার সদস্য হবে, আশা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, কোনও দেশ তার সামর্থ্যের বাইরে ধার করার চেষ্টা করলেই প্রথমে তাকে বকে দেওয়া হবে, না শুনলে শাস্তি। ধার শোধ না করতে পারলেও শাস্তি। অর্থাৎ, বখে যাওয়া ছেলেদের পথে আনার জন্য অভিভাবকরা যা যা করতে চান আর কী! কিন্তু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলে দিলেন, এই চুক্তিতে তিনি সই করবেন না। তাঁর দেশের যা অবস্থা, নারাজ হওয়ার কারণ অনেক! ফলে পরিকল্পনা বাতিল, বৈঠক ব্যর্থ। |
বেজিং |
বেজিংয়ে প্রবল ধোয়াশা কালো কম্বলের মতো গোটা শহরের ওপর ছড়িয়ে আছে। বায়ুদূষণের প্রত্যক্ষ ফল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলেছেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক এই ধোয়াশা। বহু বিমানের উড়ান বাতিল হল, বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ। কিন্তু, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের উপায় নেই। তাই তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিলেন অনলাইনে। |
শেষ পাত |
তাইওয়ানের নিউ তাইপে সিটি-র চার হাজারের বেশি নাগরিককে শহরের পুরসভা লটারির টিকিট দিয়েছে। বিনামূল্যে। লটারিতে এক মহিলা ২২০০ ডলার পেয়েছেন, আরও অনেকের নামে কয়েক শো ডলার পুরস্কার উঠেছে। কী করেছিলেন ওই নাগরিকরা? রাস্তা থেকে ময়লা তুলে ব্যাগে ভরে জমা দিয়ে এসেছেন পুরসভার নির্ধারিত জায়গায়। যে কোনও ময়লা নয়, পোষা কুকুর রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে রাস্তা নোংরা করে, সেই উপদ্রব থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার অভিপ্রায়েই প্রশাসন এই লটারির সুযোগ দিয়েছে। এবং দারুণ কাজ হচ্ছে। কেবল পোষা কুকুরের মালিকরা নন, অন্যরাও নাকি লটারির আশায় ঝুলি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। |
|