উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোকদলের সঙ্গে জোট পাকা করে ফেলল কংগ্রেস। ইউপিএ-সরকারে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন অজিত। কালই রাহুল গাঁধীর সঙ্গে অজিতের বৈঠকে আসন সমঝোতা মোটামুটি পাকা হয়ে যায়। আজ সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে জাঠ-নেতার বৈঠকে সেই জোটেই সিলমোহর পড়েছে।
রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আগেভাগেই প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস। কিন্তু পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ-বলয়ে মায়াবতীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অজিত সিংহের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে যেতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। সেখানে ৪৫টি আসনে রাষ্ট্রীয় লোকদল প্রার্থী দেবে। অজিতকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কৃষক-নেতা অজিত নিজে কৃষি বিষয়ক দফতর চাইছিলেন। তা সম্ভব হচ্ছে না বলে অজিত সিংহকে বিমান মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। কারণ প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের পাশাপাশি ভায়লার রবির হাতে বিমান মন্ত্রক অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রয়েছে। তবে বিমান ক্ষেত্রে সঙ্কটের কারণে শরিকদের হাতে ওই মন্ত্রকটি ছেড়ে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক ভাবে আপত্তি তুলেছিলেন। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, মন্ত্রিসভায় যোগদান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে আরএলডি-নেতার। সেখানেই শপথগ্রহণ ও মন্ত্রকের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
ইউপিএ-সরকারে অজিত সিংহের যোগদান আর এক দিকেও তাৎপর্যপূর্ণ। ইউপিএ-র অন্যান্য জোট শরিকদের বিরোধিতায় যখন খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে হয়েছে, তখন অজিত সিংহ কৃষক-নেতা হয়েও বিদেশি লগ্নিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এতে কৃষকদের উপকারই হবে। লোকসভায় আরএলডি-র সাংসদ সংখ্যা মাত্র পাঁচ হলেও অন্যান্য শরিকদের থেকে নতুন শরিকের এই বিপরীত অবস্থান কিছুটা স্বস্তি দেবে কংগ্রেসকে। আজ সনিয়া-অজিত বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা মোহন প্রকাশ বলেন, “রাষ্ট্রীয় লোকদলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট উত্তরপ্রদেশে বহু সমীকরণই বদলে দেবে।” |