ঘন কুয়াশার জেরে শনিবার সকালে ব্যাহত হল কলকাতার উড়ানসূচি। এ দিন সকালে কলকাতা থেকে সব বিমানই দেরিতে ছেড়েছে। শুক্রবার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে ভিন রাজ্য বা ভিন দেশের যে বাসিন্দারা মারা গিয়েছেন, শনিবার তাঁদের দেহ নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতেও এর ফলে দেরি হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের সাড়ে ন’টার উড়ানে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল গৌরাঙ্গ মণ্ডলের দেহ। সেই বিমান ছেড়েছে দুপুর আড়াইটা নাগাদ। জেট বিমানসংস্থার উড়ানে এ দিন আগরতলা নিয়ে যাওয়া হয়েছে পাঁচটি মৃতদেহ। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে এ দিন আগরতলা গিয়েছে প্রবালচন্দ্র দাসের দেহ। এই বিমানটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট। সেটি ছেড়েছে পৌনে তিনটে নাগাদ।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ঢাকার আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে কলকাতার আগেই। সেখানে নামতে না পেরে যাত্রীদের নিয়ে কলকাতায় উড়ে আসে গালফ এয়ার, ইতিহাদ এবং জিএমজি-র তিনটি আন্তর্জাতিক উড়ান। তখন ভোর চারটে দশ। কলকাতার আকাশ তখনও পরিষ্কার। সকালে সোয়া পাঁচটায় কলকাতা থেকে প্রথম শিলচরে উড়ে যাওয়ার কথা জেটের উড়ানের। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, প্রায় পৌনে পাঁচটা থেকে আস্তে আস্তে কুয়াশা ঢাকতে শুরু করে শহরের আকাশ। সোয়া পাঁচটার মধ্যে কুয়াশা ঘন হয়, তাই কোনও উড়ানই ছাড়তে পারেনি। পৌনে সাতটা নাগাদ কুয়াশা আরও ঘন হয়ে চেপে বসে যে দৃশ্যমানতা কমে ৫০ মিটারে নেমে যায়। ন’টার পরে আস্তে আস্তে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। কলকাতা থেকে ৯টা ১০ মিনিটে ইনডিগোর বিমান প্রথম উড়ে যায় মুম্বইয়ের উদ্দেশে।
তার আগে অবশ্য কলকাতায় নামতে এসে আকাশে বেশ কিছুক্ষণ চক্কর কেটে অন্যত্র উড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে পাঁচটি উড়ান। তার মধ্যে ছিল হজ যাত্রীদের বিমানও। সৌদিয়া বিমানসংস্থার এই বিশেষ উড়ানটির কলকাতায় নামার কথা ছিল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে। বিমানটি নাগপুরে গিয়ে নামে। কলকাতায় এসেও ইয়াঙ্গনে উড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে দুবাই থেকে আসা এমিরেটস-এর উড়ান। |