নগদ পুঁজির অভাবে দেশের অধিকাংশ আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের অবস্থাই বেশ খারাপ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও এ রকম ১৮টি ব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু নিয়ম মতো রাজ্য সরকারগুলি গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে পুঁজির জোগান দিচ্ছে না বলে, কেন্দ্রীয় সরকারও কোনও আর্থিক সাহায্য করতে পারছে না। শনিবার, কলকাতায় পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় দ্রুত ওই টাকা মিটিয়ে দিতে তাঁদের অনুরোধ করেছেন। এই মুহূর্তে পূর্বাঞ্চলের ১০টি রাজ্যের কাছে ব্যাঙ্কগুলির প্রায় ১৯৮ কোটি টাকা পুঁজি বাবদ পাওয়ার কথা বলে প্রণববাবু বলেন। এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রণববাবু একান্তে বৈঠক করেন। তবে এ নিয়ে কেউই কোনও মন্তব্য করেননি। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর ডি সুব্বরাও একই ভাবে রাজ্য সরকারকে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা দিতে বলে গিয়েছেন। |
পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আঞ্চলিক ব্যাঙ্কের এখন রাজ্যের কাছে ৮৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। রাজ্য সরকার এই টাকা ব্যাঙ্কগুলিকে মিটিয়ে দিলে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে তারা ২৫০ কোটি টাকার উপরে আর্থিক সাহায্য পাবে বলে সুব্বারাও জানিয়েছিলেন। আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির মোট মালিকানার ৫০ শতাংশ থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। রাজ্য সরকারগুলির অংশ ১৫ শতাংশ। যে কারণে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরানোর ব্যাপারে উভয়েরই দায় রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, অধিকাংশ রাজ্যই ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা দিচ্ছে না।
ফলে নিয়ম মতো কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের অংশ দিতে পারছে না। ব্যাঙ্ক শিল্পমহল সূত্রের খবর, সারা দেশে এই মুহূর্তে ৪০টির মতো আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক রয়েছে, যেগুলি পুঁজির অভাবে ধুঁকছে। এবং তারা বাজারে কোনও ঋণও দিতে পারছে না। |