হার্ভার্ড সরিয়ে দিল স্বামীকে |
হার্ভার্ডে আর পড়াতে পারবেন না সুব্রহ্মণ্যন স্বামী। মুম্বইয়ের এক পত্রিকায় তাঁর একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল গত জুলাইয়ে। তাতে সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে কিছু মন্তব্য এতই বিদ্বেষপূর্ণ ছিল যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তাঁকে পড়ানোর দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বামী অবশ্য বলছেন, “আমার বক্তব্য না শুনেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হার্ভার্ডের উচিত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা।” জনতা পার্টির সভাপতি স্বামীর ওই লেখায় সন্ত্রাসের সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে জড়িয়ে বেশ কিছু উস্কানিমূলক মন্তব্য ছিল। লেখাটি সম্পর্কে জানার পরে শ’চারেক ছাত্র প্রতিবাদ জানাতে সই সংগ্রহে নামে। কিন্তু মুক্ত চিন্তা ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেওয়ার ঐতিহ্য মেনে কর্তৃপক্ষ তখন তাঁদের প্রাক্তন ছাত্র স্বামীর পাশেই দাঁড়ান। কিন্তু ২০১২-র শিক্ষাক্রম ঠিক করার বৈঠকে বিতর্ক বেধে যায়। শেষ পর্যন্ত সামার স্কুলে যে দু’টি বিষয় স্বামী পড়াতেন, দু’টির সূচি থেকেই তাঁর নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। স্বামী একে ‘বিপজ্জনক’ প্রবণতা বলে মনে করছেন। এ ভাবে বাদ পড়ার পরেও তাঁর বক্তব্য, হার্ভার্ডে পড়াতে হলে তিনি বিশ্বের কোথায় কী লিখলেন তার জন্যও জবাবদিহি করতে হবে! এটা বিপজ্জনক। যদিও হার্ভার্ডের ‘তুলনামূলক ধর্ম’-এর অধ্যাপিকা ডায়ানা এক-এর বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ান, এমন ব্যক্তির সঙ্গে হার্ভার্ড যুক্ত থাকতে পারে না। অপ্রিয় বক্তব্য আর অবাঞ্ছিত রাজনৈতিক মত, এক জিনিস নয়। স্বামীর লেখাকে ‘মুক্তচিন্তা নয় ঘৃণার প্রকাশ’ বলেই মনে করেছেন কর্তৃপক্ষ।
|
ভার্জিনিয়া টেকে ফের গুলি, মৃত পুলিশ |
ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্দুকবাজের গুলিতে মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। আরও এক জন মারা গিয়েছে বলেও আশঙ্কা। ২০০৭ সালের অনুরূপ একটি ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ছাত্রদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। |