তদন্তে ৪ সদস্য শয্যা থেকে পড়ে
জখম রোগিণী
কার্শিয়াঙের বাসিন্দা ফুলমায়া রুচাল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে সিসিইউ-র শয্যা থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট চাইল কর্তৃপক্ষ। ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি সোমবার থেকেই তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দতে বলা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এ শয্যা থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর চোট পান ফুলমায়াদেবী। নার্স এবং চিকিৎসকদের গাফিলতিতে ওই ঘটনা বলে পরিবারের লোকদের তরফে অভিযোগ জানানো হয় বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের কাছে। রোগীর পরিস্থিতি দেখে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে সোমবার তাঁকে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মঙ্গলবারও রোগীর আত্মীয়দের চিকিৎসক জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সিসিইউ-র পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৪ টি শয্যার ওই সিসিইউ-তে রোগীকে পরিষেবা দিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী মিলিয়ে অন্তত ৬ জন থাকার কথা। অথচ ঘটনার সময় এক জন নার্স ছাড়া কেউ ছিলেন না বলে অভিযোগ। রুদ্রবাবু বলেন, “হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে ফুলমায়া দেবীর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করা হবে। হাসপাতালের সিসিইউতে শয্যা থেকে ওই রোগিণী পড়ে যাওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” হাসপাতালের সুপার প্রদাপ সরকার বলেন, “ওই ইউনিটের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। তা সত্ত্বেও রোগী শয্যা থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ঘন্টা সেখানে একজন রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) থাকার কথা। অথচ অনেক সময়ই চিকিৎসক থাকছেন না বলে অভিযোগ পৌঁছেছে বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে। হাসপাতালেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, সিসিইউতে যে চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের একাংশ কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতাল ছেড়ে বাইরে চেম্বার করতেও যান বলেও অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে সেই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের ওই ইউনিটটি বেসরকারি সংস্থা কলকাতার রবীন্দ্রনাথ টেগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখভাল করেন। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট চুক্তি রয়েছে। অথচ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চুক্তি মতো কাজ হচ্ছে না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের সুপার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন। তিনি জানান, সিসিইউতে ৪ টি শয্যা রয়েছে। চুক্তি মতো রবীন্দ্রনাথ টেগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ইউনিটের পরিষেবা দিতে ৪ জন আরএমও নিযুক্ত করেছেন। যন্ত্রাংশ দেখভালের জন্য আরও ৪ জন কর্মীও দিয়েছেন। তাদের মধ্যে এক জন আরএমও এবং ১ জন কর্মী ২৪ ঘন্টা ওয়ার্ডে থাকার কথা। জেলা হাসপাতালের তরফে ২৪ ঘন্টা ১ জন করে নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং সাফাই কর্মী দেওয়া হয়। তা ছাড়া রাউন্ডে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং একজন নার্সিং সুপারভাইজার থাকেন। চারজন রোগীকে দেখভালের জন্য চিকিৎসক, কর্মী মিলিয়ে ৬/৭ জন সব সময় থাকার কথা। তার পরেও রোগিণী শয্যা থেকে পড়ে যাওয়া তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.