টুকরো খবর |
রাইপুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাইপুর |
|
ছবি: উমাকান্ত ধর। |
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা রাইপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন ভবনের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠান হয়। নতুন ভবনের জন্য দফতর ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্দ করেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নতুন ভবনে আরও ৭০টি শয্যা থাকবে। এই ভবনে শল্য বিভাগ, লেবার রুম, দু’টি অপারেশন থিয়েটার, রোগী ও চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশ্রামাগার থাকবে। সুকুমারবাবু বলেন, “এলাকার মানুষকে আধুনীক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্যই নতুন ভবন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আশা করি এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে।” এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজের সূচনা হলেও নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপরে ভৈরববাঁকি ও তারাফেনি নদীর নিচু কজওয়ের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য দাবি জানানো হয়। মন্ত্রীর আশ্বাস, এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে প্রস্তাব এলে তা বিবেচনা করা হবে। এ দিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রার্থপ্রতিম মজুমদার, রাইপুরের বিধায়ক উপেন কিস্কু, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
পরিষেবায় ছাড় দেওয়া নিয়ে সমস্যা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট
|
হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে ইত্যাদি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার জন্য বিধায়কদের দেওয়া সার্টিফিকেট নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে রামপুরহাট হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “মহকুমাশাসকের নির্দেশে সম্প্রতি হাসপাতালে নোটিস দিয়ে জানানো হয় বিডিও-র সই করা বিপিএল সার্টিফিকেট ও রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার অন্তর্ভুক্ত উপভোক্তারা কেবলমাত্র ছাড় পাবেন। পরবর্তীতে নিয়মে কিছুটা রদবদল করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে বিধায়করা যে সার্টিফিকেট দেবেন তাতে ওই ব্যক্তির বাড়ির নম্বর উল্লেখ রাখতে হবে। তার জন্য উপযুক্ত প্রমাণপত্র দিতে হবে।” সুপার বলেন, “এ ক্ষেত্রে অনেকে সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছেন কিন্তু কোনও প্রমাণপত্র দিচ্ছেন না। অথচ সার্টিফিটেক জমা না নিলে রাজনৈতিকগত ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে খুব শীঘ্রই মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব।” রামপুরহাট মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “বিধায়কদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির নম্বর অবশ্যই উল্লেখ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রমাণপত্রও দিতে হবে।” হাসপাতাল সুপার জানান, হাসপাতালে জমা দেওয়া সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি ছাড় পাওয়ার যোগ্য কি না তা পুনরায় পরীক্ষা করার জন্য সুযোগ সুবিধা এখানে নেই। এর জন্যও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। |
চিকিৎসা শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর সদর ব্লকের জাগুল গ্রামে এক চিকিৎসা শিবির হল সোমবার। রাধাশ্যাম গাঁতাইতের স্মৃতিতে প্রতি বছরের মতো এ বারও নিখরচায় এই চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করলেন তাঁরই চিকিৎসক পুত্র কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত। শিবিরের উদ্বোধন করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র। শিবিরে চক্ষু, চর্ম, শিশু, প্রসূতি, অস্থি-সহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন। দেড় হাজার রোগীকে পরীক্ষা করা হয় ও নিখরচায় ওষুধ দেওয়া হয়। রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন ছিল।
|
চক্ষুপরীক্ষা শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরের শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির ও গুজরাতি ক্লাব (কলকাতা)-এর যৌথ উদ্যোগে বীরশিবপুর শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে রবিবার নিখরচায় চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
|
নয়া চক্ষু প্রকল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিশুদের অন্ধত্ব দূর করতে নতুন প্রকল্প চালু করল শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি চক্ষু হসপিটাল। মঙ্গলবার চাইল্ডহুড ব্লাইন্ডনেস প্রিভেনশন প্রোজেক্ট নামে ওই প্রকল্প চালু হয়। হাসপাতালের চেয়ারম্যান সুকৃত মিত্র জানান, এই ব্যাপারে হাসপাতালে কেবল শিশুদের জন্য আলাদা একটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে ৫২ হাজার শিশুর চোখ পরীক্ষা করা হয়েছে। ৬৪৯১ জন শিশুর চোখের চিকিৎসা হয়েছে। ১২৬ জনের চোখে অস্ত্রোপচার হয়।
|
চিকিৎসা শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
‘দুর্গাপুর টাউন হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে বেনাচিতির নুতনপল্লির মিলন মন্দির ক্লাব চত্বরে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথি স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরে ৫৫ জন পুরুষ, ৭৫ জন মহিলা এবং ৬১ জন শিশুর চিকিৎসা করা হয়। আয়োজকেরা জানান, শহর ও সংলগ্ন এলাকায় এমন আরও শিবিরের আয়োজন করা হবে।
|
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নতুন অফিস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) কার্যালয় তৈরি হচ্ছে আসানসোলে। এখন যেখানে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয় রয়েছে সেখানেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিতা সেন চট্টরাজ জানান, সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা আসানসোলে গিয়ে জায়গা মনোনয়ন করে গিয়েছেন। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিতা সেন চট্টরাজ জানান, প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে এই কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। একই ছাদের তলায় সিএমওএইচ-এর দফতর-সহ মোট ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ দফতর থাকবে এই কার্যালয়ে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল-দুর্গাপুর মহকুমায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৮ লক্ষ নাগরিকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন এই পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন আড়াই হাজার শয্যার রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ মজুত রাখার জন্য একটি গুদাম ঘর তৈরি হচ্ছে।
|
স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির করল বর্ধমান জেলা গ্রাম উন্নয়ন সমিতি। হিরাপুর থানার নরসিংহ বাঁধের ইস্কো কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার প্রায় ১০০ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়। এ দিনই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে কুমারপুর মাদ্রাসায় চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রায় ২০০ জনের চোখ পরীক্ষা করে ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।
|
স্বাস্থ্যশিবির |
বেনাচিতির নুতনপল্লির মিলন মন্দির ক্লাব চত্বরে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথি স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরে ৫৫ জন পুরুষ, ৭৫ জন মহিলা এবং ৬১ জন শিশুর বিনমূল্যে চিকিৎসা করা হয়। |
|