আফগানিস্থানে নিরাপত্তাক্ষীর চাকরি দেওয়ার নাম করে এক তরুণের কাজ থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ওই তরুণের মা রিনচেন ভুটিয়া প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফগানিস্থানের একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ দেওয়ার নাম করে রিনচেনের ছেলে নিমা তেনজিংয়ের কাছ থেকে পাঁচ মাস আগে প্রায় তিন লক্ষ টাকা প্রধাননগরের চম্পাসারি রোডের একটি সংস্থার কর্ণধার নেন। তার পরে পাঁচ মাস কেটে গেলেও আফগানিস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়নি নিমাকে। টাকাও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিমার পাসপোর্টটিও আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগ পেয়েই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রিনচেন অভিযোগ করে জানান, নিমা তেনজিংয়ের কাজের আশ্বাস পেয়ে জুলাই মাসের ৫ তারিখে চম্পাসারির ওই সংস্থার কর্ণধারের হাতে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। নিমার পাসপোর্টটিও তুলে দেওয়া সংস্থার হাতে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিমাকে আফগানিস্থানে নিয়ে যাওয়ার দিন ঠিক করা ছিল। ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের কথামতো নিমা দিল্লিতে যান। সেখানে যাওয়ার পর নিমাকে ৩০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্থান যাওয়া হবে বলে জানান সংস্থার কর্তারা। পরে কয়েক দফায় আফগানিস্থান যাওয়ার তারিখ বদল করা হয়। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে ৬ অক্টোবর দিল্লিতে থেকে শিলিগুড়িতে ফিরে আসে রিনচেন। ৭ অক্টোবর তারা চম্পাসারির ওই সংস্থায় গিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করেন। ১৯ নভেম্বর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। রিনচেন বলেন, “বহুদিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যপারে কোনওরকম আশ্বাস পাইনি। সংস্থায় গিয়ে কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। ছেলের পাসপোর্টও আছে সেখানে।” নিমা বলেন, “বন্ধুদের কাছ থেকে ওই সংস্থার ঠিকানা পেয়ে যোগাযোগ করি। আফগানিস্থানে চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিই। এখন বুঝতে পারছি ভুল করেছি।” অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ চম্পাসারির মেন রোডে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই পরিবারের হাতে টাকা ফেরত আশ্বাস দিয়েছে ওই সংস্থার কর্মকর্তারা। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছে, আফগানিস্থানে যে সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিমাকে কাজের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আপাতত সেখানে নিয়োগ হচ্ছে না। সে জন্যই তাঁরা নিমাকে আফগানিস্থানে নিয়ে যাননি। |