|
|
|
|
বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকির পারাপার |
সুব্রত গুহ • জুনপুট |
ভেঙে গিয়েছে সেতু। অগত্যা খালের উপরে বাঁশ ফেলে প্রাণ হাতে চলাফেরা করছেন গ্রামবাসী।
মির্জাপুর খাল পার হওয়ার জন্য এ ছাড়া আর কোনও উপায়ও নেই কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বামুনিয়া পঞ্চায়েতের সারসা গ্রামের হাজার দু’য়েক বাসিন্দার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মির্জাপুর খালের উপর সেচ দফতরের একটি কাঠের সেতু আগে ছিল। কিন্তু সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন আগেই তা ভেঙে খালের জলে বিলীন হয়ে গিয়েছে। বামুনিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্লোল পাল বলেন, “সেতু ভেঙে পড়ার পরে সারসা গ্রামের মানুষজন কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। নতুন সেতু তৈরি করে দেওয়ার জন্য সেচ দফতর, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা পরিষদসবর্ত্রই আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি।” |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিকে বারবার আবেদন জানিয়েও সেতু তৈরি না হওয়ায় মহা সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসী। বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে স্থানীয় বড়বানতলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। বাধ্য হয়েই সারসা গ্রামের বাসিন্দারা খালের উপর বাঁশ পেতে অস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ওই ভাবে খাল পার হওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। নিত্য দুর্ঘটনা ঘটে তাই। দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা বলেন, “মির্জাপুর খালে সেতু তৈরির দায়িত্ব সেচ দফতরের। অবিলম্বে সেতুটি তৈরি করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” এই বিষয়ে কাঁথি সেচ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন পণ্ডিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “শুধু মির্জাপুর খালের সেতু নয়, কাঁথি মহকুমায় বেশ কিছু ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতু রয়েছে। যেগুলি অবিলম্বে মেরামত বা নতুন করে তৈরি করা প্রয়োজন। অর্থের অভাবে এই সব কাজ সম্ভব হচ্ছে না।” আর্থিক সমস্যায় আরও অনেক প্রকল্প আটকে রয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্যের ‘পরিবর্তিত’ পরিস্থিতে সেচ দফতরের হাতে কবে অর্থ আসবে তা ভবিষ্যতই জানে। প্রশাসনের আশ্বাসে ভরসা নেই সারসাবাসীরও। |
|
|
|
|
|