|
|
|
|
শেখরের কাছে কৃতজ্ঞ পাঠান |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
প্রায় তিন বছর বাদে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ দু’টো একদিনের ম্যাচে সব কিছু উজাড় করে দিতে চাইছেন ইরফান পাঠান। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “এত দিন বাদে আবার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার কাছে খুশির খবর না স্বস্তির ব্যাপার, ঠিক বলতে পারব না। তবে এই সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই। দেশের হয়ে খেলা সব সময়ই গর্বের। ভগবান চাইলে, আরও অনেক বছর দেশের হয়ে খেলব।”
পাঠানের প্রত্যাবর্তনের পিছনে এমআরএফের প্রাক্তন কোচ টি এ শেখরের প্রচুর অবদান আছে। এ দিন অবশ্য শেখরকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি ভারতের এই বাঁ হাতি পেসার। তাঁর কথায়, “টি এ শেখরের উপদেশ প্রচুর পেসারের কাজে লেগেছে। আমিও তাদেরই একজন। বল সুইং করানোর জন্য কব্জি কেমন থাকা উচিত, সেটা শেখরই আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন। ওঁর পরামর্শ আমাকে খুব সাহায্য করেছে। অবশেষে কঠোর পরিশ্রমেরই সুফল পেলাম।”
দিল্লির বিরুদ্ধে পাওয়া সাত উইকেটই কি ভারতীয় দলের দরজা খুলে দিল? পাঠান মানতে চাইছেন না। উল্টে তাঁর যুক্তি, “একটা ভাল পারফরম্যান্স করেই ভারতীয় দলে জায়গা পাওয়া যায় না। এই মুরসুমের শুরু থেকেই ভাল ফর্মে আছি। এবং ধারাবাহিকভাবে পারফর্মও করছি। যে করেই হোক আমাকে এই ছন্দটা ধরে রাখতে হবে।”
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক পুনর্বাসনের অভাবে ভুগতে হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। পাঠানের অবশ্য দাবি, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দারুণ সাহায্য পেয়েছেন তিনি। বলেছেন, “দলে ঢোকার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছিলাম না। ভেবেই রেখেছিলাম, আগে একশো শতাংশ ফিট হব তারপর প্রত্যাবর্তন। এনসিএ-তে আমি খুব সাহায্য পেয়েছি। আমি বিসিসিআইয়ের কাছেও কৃতজ্ঞ। আমার চোটের সঠিক চিকিৎসার জন্য ওরাই আমাকে বিদেশে পাঠিয়েছিল।” পাঠান এ-ও স্বীকার করেছেন, তাঁর দুঃসময়ে বড় ভাই ইউসুফ পাঠানও তাঁকে খুব সহযোগিতা করেছেন। |
|
|
|
|
|