|
|
|
|
কাল অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন |
পন্টিংরা স্লেজিং করলে ভাল খেলার তাগিদ পাব, বলছেন ঋদ্ধি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাঠে নামার সুযোগ। মুম্বই উড়ে যাচ্ছেন বুধবার বিকেলে। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে উঠে পড়ছেন অস্ট্রেলিয়ার বিমানে। এই অবস্থায় খানিকটা নার্ভাস থাকা খুব স্বাভাবিক। মঙ্গলবার ইডেনে বাংলা-তামিলনাড়ু ম্যাচ দেখতে আসা ঋদ্ধিমান সাহা কিন্তু একেবারে ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল।’ ম্যাচের ফাঁকে ফাঁকে তাঁর দিকে ছোড়া প্রশ্নের বাউন্সার কখনও ঠান্ডা মাথায় ডিফেন্ড করলেন। কখনও বল পাঠিয়ে দিলেন সোজা বাউন্ডারির বাইরে। ‘ব্যাগি গ্রিন’-দের স্লেজিং কী ভাবে সামলাবেন কিছু ভেবেছেন? “করুক না স্লেজিং। আমার ভালই লাগবে। ভাল খেলার বাড়তি তাগিদ পাব,” বলে ঋদ্ধি যোগ করছেন, “তা ছাড়া স্লেজিং আমার কাছে নতুন কিছু নয়। নাগপুর টেস্টে ডেল স্টেইন আমাকে স্লেজ করেছিল। ময়দানে তো এ সব রোজকার ব্যাপার।” পন্টিংদের দেশের উইকেটে আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বলেই অনেকটা আত্মবিশ্বাসী শোনাচ্ছে ঋদ্ধিকে। বছর দুয়েক আগে ইমার্জিং প্লেয়ার্স টুর্নামেন্ট খেলে এসেছেন তিনি। “অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে কিপিংয়ের ভালই অভিজ্ঞতা আছে আমার। তবে ব্যাটিংটা নিয়ে আমাকে খাটতে হবে। আশা করি অস্ট্রেলিয়ায় আগে পৌঁছে ওই বাড়তি সময়টা কাজে লাগাতে পারব।” বাংলা উইকেটকিপার আরও জানিয়ে রাখলেন, বাউন্সি উইকেটে খেলার খানিকটা আন্দাজ পেতে ভেজা ক্যাম্বিস বলে ব্যাটিং প্র্যাক্টিস করেছেন তিনি।
প্রস্তুতি এখানেই শেষ নয়। স্টিভ ওয়দের সমানে সমানে টক্কর দেওয়া প্রথম ভারত অধিনায়কের ক্লাসও মন দিয়ে করেছেন ঋদ্ধি। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছেন, সেটা ভেঙে বলতে চান না এখনই। “দাদি আমাকে বলেছে কেমন মনোভাব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে হবে। বাকিটা খেলার কথা, খেলার মধ্যেই থাক,” বললেন ঋদ্ধিমান। ধোনির প্রথম এগারোয় সুযোগ পাওয়া নিয়ে এখনই ভাবছেন না তিনি। বরং বলছেন, “আমার লক্ষ্য হল, যেটুকু সুযোগ পাব সেটাকেই কাজে লাগানো। নিজের একশো শতাংশ দেব। বাকিটা দেখা যাবে।” |
|
|
|
|
|