|
|
|
|
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ |
|
দুই ম্যাঞ্চেস্টারের টিকে
থাকার চূড়ান্ত লড়াই
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
নক আউটে ৯টা দল উঠে গিয়েছে। বাকি ৭টা জায়গার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ১৬টা ক্লাব গ্রুপ লিগের শেষ দিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লড়তে নামছে। যার মধ্যে বুধবারের মহালড়াই স্বভাবতই বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেরও খুব গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে ম্যাচ রয়েছে বাসেলের বিরুদ্ধে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে ফার্গুসনের দলের এখনও প্রি-কোয়ার্টারে ওঠা নিশ্চিত নয়। তার জন্য বাসেল থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতেই হবে। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের মতোই আয়াখস নক আউটের টিকিট ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে। কাল দু’দলের মধ্যে ম্যাচে দেখার একটাই বিষয়, রোনাল্ডো-ইগুয়াইন-কাকারা গ্রুপের সব ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নিয়ে পরের রাউন্ডে যেতে পারেন কি না। মোরিনহোর রিয়াল এ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ ম্যাচের প্রতিটা জিতেছে।
তবে বুধবার রাতে ফুটবলদুনিয়ার চোখ যে ম্যাঞ্চেস্টার স্টেডিয়ামে থাকবে ধরেই নেওয়া যায়। গ্রুপ ‘এ’ থেকে বায়ার্ন ইতিমধ্যেই নক আউটে চলে গিয়েছে। দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য লড়ছে নাপোলি (৮ পয়েন্ট) এবং ম্যান সিটি (৭)। প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা মানচিনির দল কাল বায়ার্নকে হারালেও যে ইউরোপিয়ান লিগের নক আউটে উঠবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সে ক্ষেত্রে আগেরো-দাভিদ ভিয়া-বালোতেল্লিদের তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের দিকে। যে ম্যাচে নাপোলি এখনও শূন্য পয়েন্টে থাকা ভিয়ারিয়ালকে হারালেই ম্যান সিটি-কে তাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে গ্রুপ পর্যায়েই বিদায় নিতে হবে। একমাত্র অঙ্ক হল, ম্যান সিটি হারাল বায়ার্নকে এবং ভিয়ারিয়াল বিরাট অঘটন ঘটিয়ে আটকে দিল সিরি-এ’তে এ মরসুমে দারুণ ফর্মে থাকা নাপোলিকে। |
|
আজ কঠিন লড়াই দুই ম্যাঞ্চেস্টার কোচের। ইউনাইটেডের ফার্গুসন, সিটির মানচিনি। |
ঘরের মাঠে ম্যান সিটি শেষ ১৪ ম্যাচে অপরাজিত, এ মরসুমে টানা ১২টা ইপিএলের ম্যাচ জিতেছে, সব সত্যি। কিন্তু রিবেরি-মুলার-গোমেজদের চ্যালেঞ্জ অন্য জিনিস। সোয়াইনস্টাইগার চোট থেকে সেরে ওঠার পরে এই ম্যাচেই টিমে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তা হলে বায়ার্ন আরও শক্তিশালী হয়ে নামবে। তবে ফ্লু হওয়ায় কাল খেলতে পারবেন না রবেন। মেসির সমান ৬টা গোল করে গোমেজ এই মুহূর্তে এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ স্কোরার। প্রথম লেগে বায়ার্নের ২-০ জয়ে দু’টো গোলও তাঁরই। ম্যান সিটি-র পক্ষে বলার মতো, ঘরের মাঠে তাদের অসাধারণ ধারাবাহিকতা এবং প্রথম পর্বে এই ম্যাচটায় সেই তেভেজ-মানচিনি মহাঝামেলা-উত্তর জার্মান টিমের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠে বদলা নেওয়ার স্বাভাবিক প্রচণ্ড খিদে। মিউনিখে তেভেজকে কোচ মানচিনি বদলি নামাতে চাইলে আর্জেন্তিনীয় স্ট্রাইকার খেলতে অস্বীকার করেন। তেভেজ তার পর অলিখিত নির্বাসনে চলে গেলেও প্রিমিয়ার লিগে ম্যান সিটির দৌড় অব্যাহত। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোথাও যেন সেই গতি দেখা যাচ্ছে না মানচিনির ছেলেদের মধ্যে।
আবার ফার্গুসনের ছেলেরা টেনশনে থাকবেন, প্রথম লেগে বাসেল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৩-৩ ড্র করে আসায়। ইয়ং ৯০ মিনিটে সমতা না ফেরালে ম্যান ইউ-কে হারতেই হত সে দিন। কাল রুনি-ভিদিচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে আবার ফিরলেও বার্বেতোভ-অ্যান্ডারসন আনফিট। ওল্ড ট্র্যফোর্ডে দুই ফ্রেইফাবিয়ান ও আলেকজান্দার বাসেলের তিনটি গোল করেছিলেন। ঘরের মাঠে তাঁদের আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আটকানোই ফার্গুসনের প্রধান চিন্তা হওয়া উচিত।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের পাশে কাল ইন্টার-সিএসকেএ, বেনফিকা-গালাতি কিংবা জাগ্রেব-লিয়ঁ লড়াইকে নিতান্তই সাদামাঠা দেখাচ্ছে। |
|
|
|
|
|