|
|
|
|
ভারত-শ্রীলঙ্কা |
|
জিতেই আজ সেমিফাইনাল
খেলতে চান নবিরা
স্বপন সরকার • নয়াদিল্লি |
|
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ড্র করলেই সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত। কিন্তু সেই পথে বুধবার হাঁটতে চান না ভারতীয় দলের কোচ স্যাভিও মেদেইরা। এবং তাঁর ফুটবলাররাও। তার পরিবর্তে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সাফ কাপের শেষ চারে যেতে চায় ভারত।
অম্বেডকর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্র্যাক্টিসের পর স্যাভিও বলে দিলেন, “ভুটান ম্যাচের মতই আমরা ভাল ভাবে জিতে মাঠ ছাড়তে চাই কাল।” প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও ভয় পেতে রাজি নন ভারতীয় কোচ। “শ্রীলঙ্কা গত কাল আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ঠিকই। কিন্তু সে জন্য ওদের মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছি না আমরা। তা ছাড়া আমরাও তো প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে আটকে গিয়েছিলাম। হারতে না হলেও ড্র করেছিলাম। আর মনে রাখবেন, আমাদের হারিয়ে শ্রীলঙ্কারও সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ আছে এখনও। সে জন্য একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতেই পারে কাল”, বললেন স্যাভিও। আজ অন্য গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উঠে গেল মলদ্বীপ এবং নেপাল। ছিটকে গেল বাংলাদেশ, পাকিস্তান। |
|
সুনীল ছেত্রী: এ বার ভাঙতে হবে শ্রীলঙ্কার ডিফেন্স। |
টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর নবি-সুনীল-ক্লাইম্যাক্সরা একটু মুষড়ে পড়েছিলেন। সেটা লক্ষ্য করেছিলেন কোচ। তাই ভুটান ম্যাচের আগে ছেলেদের তাতিয়ে ছিলেন এই বলে যে, “তোমরা মন খারাপ করো না। ভুটান ম্যাচটা অনেক গোলে জিতে প্রমাণ করে দাও যে, তোমরা এই টুর্নামেন্টে আগের বারের চ্যাম্পিয়ন আর এ বারও ফেভারিট।” এ দিন স্যাভিও বলছিলেন, “আমার ছেলেরা ভুটান ম্যাচে সেটা করে দেখিয়েছে। আমি চাই ওরা এই ফর্মটা একেবারে ফাইনাল পর্যন্ত ধরে রাখুক।”
গ্রুপে পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বলেও ভারতীয় কোচের কোনও ক্ষোভ নেই। বরং বলছেন “দেখুন, এটা নিয়ে কথা বলে কোনও লাভ নেই। কারণ টুর্নামেন্টের বাকি সাতটা দলকেও তো তা-ই খেলতে হচ্ছে। শুধু ক্লান্তি কাটানোর জন্য আমি ছেলেদের দিল্লির ঠান্ডাতেও বরফ-জলে চান করিয়ে চাঙ্গা রাখছি।” শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ডিফেন্সে নিমর্র্ল ছেত্রীর বদলে আবার সমীর নায়েক-কে শুরুতে নামাতে পারেন স্যাভিও। এ দিনের অনুশীলনে দেখা গেল ডেম্পোর স্টপারকে বাড়তি খাটতে, কোচের কড়া নজরের সামনে। ভারতের কোচ বললেন “টুর্নামেন্টের মধ্যে আমার দলে খুব বেশি বদল ঘটানোর আমি পক্ষপাতী নই। তবে প্রয়োজনে একটা-দুটো অদলবদল করা যেতেই পারে। সমীরের ফিটনেসের ব্যাপারে কাল সকালে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তার পর প্রথম দল বাছব।”
ভুটানের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলের মধ্যে ক্লিফোর্ড মিরান্ডা-র করা দুটো গোল নিয়ে স্যাভিওর গলায় বাড়তি উচ্ছ্বাস। “ক্লিফোর্ড খুব ভাল ফুটবলার। এই দলের বেশ কিছু প্লেয়ার ভাল খেলছে বলে ওর ভাল খেলাটা আলাদা ভাবে হয়তো সবার চোখে পড়ে না। কিন্তু ও নীরবে নিজের কাজ সফল ভাবে করে যায়।” ক্লিফোর্ড নিজে গত কালের গোলের প্রসঙ্গে বললেন, “আগের ম্যাচের গোল নিয়ে আমি আর ভাবছি না। শুধু আমি নই, দলের সবারই একই মনোভাব। গোটা টিম চাইছে কাপটা আবার জিততে। কালকের ম্যাচ তো বটেই, সেমিফাইনাল আর ফাইনালটাও ভাল খেলে জিততে বদ্ধপরিকর আমরা।”
রহিম নবি আবার দাবি করলেন, এশিয়া কাপে খেলার পর তাঁর নিজের খেলার আরও উন্নতি হয়েছে। “বিশ্বাস করুন, এশিয়া কাপে বড়-বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলে আমার খেলারও উন্নতি হয়েছে। সুভাষ ভৌমিক আমাকে সাইড ব্যাকে খেলানোর পর আমার সব পজিশনে খেলা হয়ে গেছে। এমনকী আমার পাড়ার টিম পান্ডুয়ার হয়ে আমি গোলকিপারও খেলেছি। এখন আমি নিজের খেলার আগেভাগে আঁচ করতে পারি। গত কাল যেমন মনে হচ্ছিল, আমি গোল পাব। তাই বারবার ওভাল্যাপে যাচ্ছিলাম। একটা গোল পেলাম। কিন্তু আরও কয়েকটা পেতে পারতাম। সেটা আমি পরের ম্যাচগুলোয় পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।” |
|
|
|
|
|