সমস্যা সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে |
পারাং নদীর উপরে সেতু তৈরির কাজ ফের শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকার পর পঞ্চমীতে পারাং নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ ফের শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতর সূত্রের বক্তব্য, বৃষ্টির কারণে সেতু নির্মাণের কাজ কিছু দিন বন্ধ ছিল। ঠিকাদার সংস্থা ফের কাজ শুরু করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল প্রতিহার। তাঁর কথায়, “আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করতে। ২০১২ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। সেই সময়ের মধ্যেই, অর্থাৎ আগামী বর্ষার আগেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে ফেলা যাবে বলে আশা করছি। কাজ শেষ হলেই নতুন সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে।”
পঞ্চমীতে পারাং নদীর উপর পুরনো যে সেতুটি রয়েছে, তার জীর্ণ দশা। যে কোনও সময়ে সেতু ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। আংশিক সংস্কার করেই কাজ চলছে। কিন্তু দিনের পর দিন যে ভাবে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে তাতে নতুন সেতু তৈরি না হলে আগামী দিনে যে সমস্যা হবে, সে বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তারা নিশ্চিত ছিলেন। তাই নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। তার জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচও ধরা হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তদানীন্তন পূর্তমন্ত্রীকে দিয়ে নতুন সেতুর শিলান্যাসও করানো হয়। যদিও কাজ শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের ব্যাখ্যা, বৃষ্টি-বন্যার কারণেই কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এ বার ফের কাজ শুরু হয়েছে। |
|
কেশপুরের পঞ্চমী ও আমড়াকুচির মাঝে কাজ চলছে সেতুর কাজ। নিজস্ব চিত্র। |
তবে এ ক্ষেত্রেও একটি সমস্যা থেকে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলেও সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য এখনও দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। সংযোগকারী রাস্তা তৈরি না হলে সেতু তৈরি করেও কোনও লাভ হবে না। সেতু থাকা সত্ত্বেও পুরনো সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হবে। তা হলে কেন সংযোগকারী রাস্তা তৈরির বরাত দিতে দরপত্র আহ্বান করা হল না? পূর্ত দফতরের ব্যাখ্যা, সংযোগকারী রাস্তার যে জায়গায় মাটির কাজ ছিল তার জন্য সব প্রস্তুতিই শেষ। কেবলমাত্র যে অংশ পাকা করা হবে, তার দরপত্র ডাকা হয়নি। তবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগের তুলনায় নির্মাণ-সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বাড়বে জানিয়ে রাজ্যস্তরে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। অনুমতি মিললেই ওই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে। |
|