হাতির হানায় গুরুতর আহত হল এক যুবক। আহত যুবকের নাম উৎপল মাহাতো। শালবনি থানা এলাকার ধান্যশোল গ্রামে বাড়ি। গ্রামের কাছেই হাতি এসেছে শুনে মঙ্গলবার ভোরে বেশ কিছু উৎসাহী মানুষ হাতি দেখতে জঙ্গলের দিকে যান। তাঁদের মধ্যে উৎপলও ছিলেন। জনতার দিকে হাতি তেড়ে যেতেই সবাই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সেই সময়েই হোঁচট খেয়ে উল্টে পড়েন উৎপল। একটি হাতি এসে তার দু’পা পিষে দেয়। পরে গ্রামবাসীরা হাতিকে লক্ষ করে ইট ছুড়লে হাতিটি পালিয়ে যায়। তখন উৎপলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বন দফতর সাধারণ মানুষের কাছে হাতিকে উত্ত্যক্ত না করার আবেদন জানিয়েছে। মেদিনীপুর বনবিভাগের ডিএফও আশিস সামন্ত বলেন, “আহত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর দেখভাল করার জন্য বন দফতরের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে।” |
দলমা থেকে আসা হাতির দল বর্তমানে শালবনি ও গড়বেতার বিভিন্ন এলাকায় থাকছে। কয়েক দিন আগেই চন্দ্রকোনারোড লাগোয়া নয়াবসতের জঙ্গলে ছিল। কয়েক দিন হল মিরগা বিটের জঙ্গলে এসেছে। মিরগার জঙ্গলে হাতির দু’টি বাচ্চাও হয়েছে। আগেই হাতির দলে তিনটি বাচ্চা ছিল বলে বন দফতর জানিয়েছে। তার উপর আরও দু’টি বাচ্চা হওয়ায় শাবকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। সাধারণত বাচ্চা হলে হাতির পাল সেই এলাকাতেই বেশ কয়েক দিন ধরে থাকে। ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে বেশি যাতায়াত করে না হাতির দল। তাই অভিযান চালিয়েও হাতির দলকে একে বারেই নড়ানো যায়নি বলে বন দফতর জানিয়েছে। বাচ্চা হওয়ায় বন দফতরও খুব বেশি ঝুঁকি নিতে চাইছে না। বনাধিকারিকদের মতে, এই সময়ে জোর করে হাতির দলকে সরানোর চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হবে। শাবকদের ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় হাতিরা তাণ্ডব চালাবে। তাতে ব্যাপক ক্ষতি-প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। একই ভাবে হাতি দেখতে ভিড় জমালেও হাতির পাল ক্ষিপ্ত হতে পারে। কারণ, হাতি দেখতে ভিড় জমানো অনেকেই হাতিকে লক্ষ করে ইট-পাথর ছোড়ে। বর্তমানে সঙ্গে শাবক থাকায় হাতির দলটি অনেক বেশি স্পর্শকাতর। শাবকেরা চলতে ফিরতে পারলেই দলমার দামালেরা অন্যত্র চলে যাবে বলে আশা করছে বনবিভাগ। |