ঠিক কোন জায়গা থেকে নদীতে ঢেলে দেওয়া হয়েছিল কীটনাশক, সেই তথ্য পেতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে করলায় অভিযান চালাল পুলিশ ও প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ির নৌকো নিয়ে পরিদর্শন করেন পুলিশ অফিসাররা। নদীর কয়েকটি পাড়ের ছবিও তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি সন্দেহজনক এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মাসকলাই বাড়ি এবং দিনবাজারের একটি এলাকায় বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এর আগে করলা নদীর পাড় বরাবর অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। প্রশাসনের হাতে বেশ কিছু তথ্য আসার পরে এদিন নৌকা নিয়ে ফের অভিযান চলে। যে দুটি এলাকাকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে তার আশেপাশে কোনও বসতি নেই। অপেক্ষাকৃত নির্জন এলাকা থেকেই নদীর জলে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয় বলে সন্দেহ। পুলিশের সন্দেহ, গভীর রাতেই কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয়। |
গত ২৮ নভেম্বর সকাল থেকে করলা নদীতে মাছের মড়ক শুরু হয়। জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায়, সাত রকমের বিষাক্ত কীটনাশক অতি বেশি পরিমাণে নদীর জলে মিশিয়ে দেওয়াই হাজার হাজার মাছের মড়কের কারণ। জেলা প্রশাসনের তরফেও করলা নদীর জলকে বিষমুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন করে মাছের মড়কের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে পরে বিভিন্ন সুপারিশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করলা নদীর জলে দূষণ নিয়ে প্রশাসন খুবই উদ্বিগ্ন। সব দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।” তিস্তার জল এনে করলা নদীর জলে ফেলা বা নদীর জলকে গতিশীল রাখতে নদী গর্ভে জেগে ওঠা চর-সহ জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ সরানোর কাজ চলছে। নদীর জলে ফটকিরি ও চুনের মিশ্রণ ছড়ানো হয়েছে। আপাতত নদীর জল অনেকটাই বিষমুক্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে এখনই করলা নদীর জল ব্যবহার করা বা নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দিতে রাজি নন জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “এদিন নদী জুড়ে ফের অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সুত্র মিলছে। সেই অনুযায়ী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করলা নদী নিয়ে বিভিন্ন মহলকে সামিল করে একটি আলোচনা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।” |