রাজধানী রাঁচি-সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে উদ্বেগজনক ভাবে কাক-মড়কের খবর আসছে। পথেঘাটে, বাড়ির আনাচে-কানাচে, এমনকী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দালানের পাশেও রোজই মিলছে কয়েক ডজন করে মড়া কাক। হঠাৎ করে কাকের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের পশুপালন দফতর। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে মরা কাকের দেহ পরীক্ষা।
রাজ্য পশুপালন দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে হারে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলা থেকে কাকের মৃত্যুর খবর আসছে, তা উদ্বেগজনক। কাক জঙ্গলে থাকে না। কাক লোকালয়ের সঙ্গেই ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও রোগে কাকের মড়ক শুরু হলে, তার প্রভাব সংশ্লিষ্ট এলাকার গৃহপালিত পশু-পাখি, এমনকী মানুষের উপরে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা নিতে কাকের মৃত্যুর কারণ জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। ভোপালের ‘হাই-সিকিওরিটি অ্যানিম্যাল ডিজিজেস ল্যাবরেটরি’ (এইচএসএডিএল)-এ কয়েকটি কাকের মৃতদেহ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে কাকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই ‘ইন্ডিয়ান ভেটারিন্যারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (আইভিআরআই)-এর একটি বিশেষজ্ঞ দল ঝাড়খণ্ডের কিছু এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জামশেদপুর থেকে।
সরকারি সূত্রে খবর, কাক মারা যাওয়ার খবর কয়েক সপ্তাহ আগে প্রথম মেলে জামশদপুর-সহ পূর্ব সিংভূম জেলার কিছু এলাকা থেকে। পরবর্তীকালে প্রতিদিনই ডজন-ডজন কাক-মৃত্যুর খবর আসতে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে। এর মধ্যে খুঁটি, বোকারো, হাজারিবাগ জেলার পাশাপাশি রাঁচির কাঁকে, নাগরি প্রভৃতি এলাকাতেই কাক মৃত্যুর ঘটনা বেশি। অস্বাভাবিক হারে কাকের মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত রিপোর্ট এখনও রাজ্য পশুপালন দফতরে আসেনি। তার আগেই অবশ্য দফতর থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পশুপালন দফতরের অধিকর্তা আনন্দগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কাকের মৃত্যু ‘ফ্লু’ জাতীয় কোনও রোগেই হচ্ছে সন্দেহ করে, কিছু আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা দফতর নিয়েছে। যে সব জায়গায় সাধরণত কাক বসে, সেই সব এলাকায় কাকের খাওয়ার জন্য একটি জলভরা পাত্র রাখা হচ্ছে। ওই জলে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘ফ্লু’-প্রতিরোধক ওষুধ। |