হুগলির গোঘাট থেকে বিস্ফোরক-সহ এক মাওবাদীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, সেলামপুর গ্রাম থেকে ধৃত বছর তিরিশের ওই যুবকের নাম সিধু কিস্কু। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার পুরচিডাঙা গ্রামে। পুলিশের দাবি, সিধু ২০০২-’০৩ সালে চমকাইতলা-আন্দোলন পর্বে বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন নাশকতাতেও তাঁর ‘ভূমিকা’ ছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “সিধু ধরা পড়া মাওবাদী নেতা সুদীপ চোংদারের ঘনিষ্ঠ। আমাদের কাছে খবর ছিল, বিস্ফোরক এবং পোস্টার নিয়ে গড়বেতা থেকে ও গোঘাটের সেলামপুর এলাকায় মাওবাদীদের কোনও বৈঠকে যাবে। সেখানেই বিস্ফোরক এবং পোস্টার হাত বদল হওয়ার কথা ছিল।” তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, সিধুর কাছ থেকে ৩ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) এবং বেশ কিছু পোস্টার পাওয়া গিয়েছে। পোস্টারগুলিতে ‘কিষেণজির মৃত্যুর বদলা চাই’ লেখা ছিল। পুলিশের অনুমান, কিষেণজির মৃত্যুর বদলা নিতে কোনও নাশকতার ছক কষছে মাওবাদীরা। সম্ভবত সেই কারণেই বিস্ফোরক আনা হয়েছিল। সিধুর সঙ্গে সেলামপুর গ্রামের
কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মাওবাদীদের বৈঠক কোথায় হওয়ার কথা ছিল, চলছে সে খোঁজও। জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “গোঘাট থেকে ধৃত মাওবাদী যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
|
মঙ্গলবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন অংশে পালিত হল মহরম। বাগনানের খাজুট্টি গ্রামে তাজিয়া নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। আমতার দেওড়া গ্রামে তাজিয়া নিয়ে আটটি শোভাযাত্রা বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে দেওড়া কারবালা মাঠে শেষ হয়। জয়পুরে বেশ কয়েকটি তাজিয়া বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। উলুবেড়িয়া-আমতা রোডে বেশ কয়েকটি তাজিয়া বেরোয়। রাজাপুরের তাজিয়া এবং শোভাযাত্রা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাগনানেও তাজিয়া নিয়ে শোভাযাত্রা বেরোয়। বাউড়িয়ার কারবালা মাঠে এই এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাজিয়া নিয়ে শোভাযাত্রা আসে। মহরম উপলক্ষে সর্বত্র কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
|
মঙ্গলবার রাতে ডানকুনির কোলেপাড়ায় এক প্রৌঢ়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ওই প্রৌঢ়ের নাম সনৎ পাত্র (৪৮)। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, সনৎবাবু হিন্দমোটর কারখানার কর্মী। এ দিন রাতে একটি অটোতে করে চার যুবক এসে তাঁকে আঘাত করে। পুলিশ পলাতক দুষ্কৃতীদের খুঁজছে। |