কেন্দ্রের বিবৃতি উড়িয়ে দিয়ে এনএসসিএন (খাপলাং) বাহিনী জানিয়ে দিল, সংগ্রামপন্থী আলফার অর্থসচিব জীবন মরাণ ও গুয়াহাটি থেকে আসা দুই সাংবাদিক তাদের ডেরাতেই রয়েছেন।
ভারত-মায়ানমার সীমান্ত থেকে অল্প দূরে, খাপলাং বাহিনীর সদর দফতর, সাগায়িং। সেখানেই থাকেন স্বয়ং খাপলাংও। অরুণাচলের চাংলাং হয়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছতে হয়। আলফার বহু দিনের ঘাঁটি সাগায়িং। এক সময় রাজখোয়া, পরেশ, শশধর-সহ আলফার কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকেই সেখানেই আশ্রয় নিয়েছিল। খাপলাং বাহিনীর আজকের দাবি জীবন মরাণের ‘গ্রেফতারের ঘটনায়’ জল ঢেলে দিল। পাশাপাশি প্রমাণিত হল, খাপলাং বাহিনীর প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে কাজ চালাচ্ছেন পরেশ বরুয়া ও তাঁর দলবল।
শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজকুমার সিংহ জানিয়েছিলেন, জীবন মরান ও গুয়াহাটির দুই সাংবাদিক মায়ানমারে, জুনতা সেনার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (উত্তর-পূর্ব) শম্ভু সিংহ জানান, জীবন মরাণ বা আলফার কোনও শীর্ষ নেতার গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে কোনও খবর নেই। এ নিয়ে মায়ানমার সরকার ভারত সরকারকে কিছু জানায়নি। সোমবার সেনা সূত্রে জানানো হয়, ধরা পড়া সাংবাদিকদের মায়ানমার সেনা ছেড়ে দিয়েছে। তবে তাদের ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের মায়ানমার-মণিপুর সীমান্তের মোরেতে আসাম রাইফেল্স-এর হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। ইঙ্গিত ছিল, একই সঙ্গে জীবনকেও ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই মতো জীবন মরাণ ও ওই দুই সাংবাদিকদের স্ত্রীরা অপেক্ষায় ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত খাপলাং বাহিনীর মুখপাত্র মুলাতনু আজ সেই প্রতীক্ষায় জল ঢেলে বলেন, জীবন ও সাংবাদিকরা নিরাপদেই সাগায়িং ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। তাঁরা সুস্থই রয়েছেন। অতিথিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব খাপলাং বাহিনী নিয়েছে। ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের রটনা ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করে মুলাতনু জানান, খাপলাং শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেই ‘অতিথি’-রা খাওয়া দাওয়া সেরেছেন। |