|
|
|
|
অবশেষে ভজাই গ্রেফতার, পুলিশি হেফাজতে আবদুল্লা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
রাজারহাট-নিউটাউনে সিন্ডিকেট গড়ে খুন-জখম-তোলাবাজি চালানোর চক্রের অন্যতম পাণ্ডা সমীর সর্দার ওরফে ভজাইকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল পুলিশ। গত রবিবারই ভজাইকে গ্রেফতারের দাবিতে নিউটাউন থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এর আগে ওই এলাকার ‘ত্রাস’ বলে পরিচিত গৌর ও রুইসকে ধরা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রাজারহাটের তৃণমূল নেতা স্বপন মণ্ডল হত্যার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকার সিন্ডিকেট চক্র ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনেই এলাকার দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা চলছে।
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্যের কাছে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন, ভজাই তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত। তার ব্যাপারে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের কাছে তার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে সে দিন অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। পাল্টা জবাবে সব্যসাচীবাবুও রবিবার জানিয়েছিলেন, ভজাই তাঁদের দলেরই কর্মী। এ দিন ভজাইকে গ্রেফাতরের পরে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না বলে দল নির্দেশ দিয়েছে। আইন নিজের পথেই চলবে।” পুলিশ সুপার এ দিন রাতে বলেন, “ভজাইয়ের বিরুদ্ধে অনেক পুরনো অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
এ দিনই স্বপন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত ‘সুপারি কিলার’ শেখ আবদুল্লাকে এ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বারাসত আদালত এ দিন তাকে চার দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, “আবদুল্লাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সে-ই স্বপনের উপর গুলি চালিয়েছিল।” পুলিশের আরও দাবি, স্বয়ংক্রিয় রিভলভার থেকে স্বপনের উপর দু’টি গুলি চালায় আবদুল্লা। প্রথম গুলিটি লাগে স্বপনের ডান পায়ে। ওই অবস্থাতেই পালাতে চেষ্টা করেন স্বপন। কিন্তু কিছুটা যাওয়ার পর কয়েকটি সাইকেলে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান তিনি। এর পরে ফের গুলি চালায় আবদুল্লা। সেই গুলি লাগে স্বপনের বুকের বাঁ দিকে।
স্বপনকে মারার জন্য পেশাদার খুনি আবদুল্লাকে নিয়োগ করল কে? পুলিশের দাবি, জেরায় আবদুল্লা জানিয়েছে, তাকে ‘সুপারি’ দেয় সত্য বৈদ্য। পুলিশের বক্তব্য, সত্য বৈদ্য এলাকার দুষ্কৃতী। এলাকা দখল নিয়ে স্বপনের সঙ্গে তার গোলমাল চলছিল। খুন হওয়ার দিন চল্লিশ আগে স্বপন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রাণসংশয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়ে যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে সত্য বৈদ্যের নাম ছিল। সত্য বৈদ্য এখন ফেরার বলেই পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, টুলকো কেষ্টপুরে সত্যর চোলাই মদের ঠেকে কাজ করত। সম্প্রতি ওই ঠেকটি ভেঙে দিয়েছিলেন স্বপন। এতেই সত্য-টুলকোদের আক্রোশ আরও বাড়ে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|